বাগরিকাণ্ডে পুরসভাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাল মন্ত্রিগোষ্ঠী
টাকা নিয়েও বাগরিরা তাঁদের বাজারে আগুন নেভানোর সঠিক ব্যবস্থা তৈরি করেননি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাগরিকাণ্ডে কাঠগড়ায় পুরসভা। আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নেই। তা সত্ত্বেও বাগরি মার্কেটের ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করে কলকাতা পুরসভা। বাগরিদের কাছে যায় শুধুমাত্র সতর্কতার নোটিস। অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হওয়ার পর উঠছে প্রশ্ন। এ আগুনের দায় কি এড়াতে পারে পুরসভা?
সূত্রের খবর, ২০১০-এ স্টিফেন কোর্টে আগুন লাগার পর বাগরি মার্কেটের মালিকদের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থায় নজর দিতে বলা হয়। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি পুরসভাও। শহরে যেসব বাণিজ্যিক ভবনে আগুন নেভানোর সঠিক ব্যবস্থা নেই তার তালিকায় আছে বাগরি মার্কেটের নাম।
গত ৩১শে জুলাই মেয়রের নেতৃত্বে হাইপাওয়ার কমিটির বৈঠকে বাগরি মার্কেটের ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করা হয়। তার আগে পুরসভাও, শুধুমাত্র বাজার মালিকদের সতর্ক করে দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করার সিদ্ধান্ত নেয়। স্টিফেন কোর্টে আগুন লাগার পর পুলিস, পুরসভা, দমকল, সিইএসসি-কে নিয়ে কমিটি তৈরি হয়। শহরের ৪২টি বাণিজ্যিক ভবনের মালিকদের উপযুক্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাগরি মার্কেট-সহ ৩৭টি বাণিজ্যিক ভবনের মালিকরা সেই নির্দেশ মানেননি। সঠিক অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকলেও বাগরি মার্কেট-সহ ৩৫টি বাণিজ্যিক ভবনের ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করে পুরসভা।
আরও পড়ুন: বেপাত্তা বাগরি মার্কেটের মালিক রাধা, বালিগঞ্জ প্লেসের অট্টালিকায় তালা
টাকা নিয়েও বাগরিরা তাঁদের বাজারে আগুন নেভানোর সঠিক ব্যবস্থা তৈরি করেননি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
নিয়মের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে রাঘব বোয়ালরা। খেসারত দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নিয়ম মানা হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব যাদের তারাই যদি হাত গুটিয়ে বসে থাকে তাহলে এই অবস্থা থেকে নিস্তার মিলবে কী করে? পুরসভার ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছেন শহরবাসী।