করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাতে প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগের অনুমতি ICMR- এর

বিশেষজ্ঞদের মতে,  এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Updated By: Aug 26, 2020, 01:55 PM IST
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাতে প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগের অনুমতি ICMR- এর
ছবি- তন্ময় প্রামাণিক

তন্ময় প্রামাণিক:  করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসাতে প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ নিয়ে সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে এই রাজ্য।

এবার আর 'ট্রায়াল' নয়। গোটা রাজ্যে নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করোনা আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্লাজমা প্রয়োগ করা যাবে। এই মর্মে রাজ্যকে অনুমতি আইসিএমআর-এর। বিশেষজ্ঞদের মতে,   "ভালো কিছু হবে" সেই ভাবনা থেকেই এমন অনুমতি মিলেছে এই রাজ্যের। এই দেশে রাজ্যভিত্তিক গুজরাট এবং কর্ণাটকে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপির কাজ চলছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এমন অনুমতিতে এই রাজ্য দেশের কাছে একটা অন্যতম উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে,  এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।

বিশিষ্ট রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ এবং এ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্লাজমা থেরাপি ট্রায়ালের অন্যতম কারিগর চিকিৎসক প্রসূন ভট্টাচার্য বলেন,  "অত্যন্ত সাহসী পদক্ষেপ। অত্যন্ত সাহসী সিদ্ধান্ত। এর ফল আমরা সুদূরপ্রসারীভাবে পেতে পারি। আশা করা যায়,  গাইডলাইন অনুযায়ী চিহ্নিত যে যে করোনা আক্রান্ত রোগীদের শরীরে এই প্লাজমা প্রয়োগ করা হবে সেখানে আমরা ভালো ফল পাব।”
তিনি আরও বলেন, “এতদিন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে ছিল। সাধারণ করোনা রোগীদের চিহ্নিত করে যেখানে সম্ভব সেখানে প্রয়োগের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমাদের অনুমতি দিয়েছে।"

সুনির্দিষ্টভাবে গাইডলাইনও দেওয়া হয়েছে,  কোন কোন ব্যক্তির শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা যাবে এবং করোনা আক্রান্ত কোন ধরনের রোগীদের শরীরে প্লাজমা প্রয়োগ করা যাবে।

করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন,  সুস্থ হয়েছেন,  ছাড়া পেয়েছেন,  তারপর ২৮ দিন কেটে গেলে সেই সুস্থ হওয়া মানুষর রক্ত সংগ্রহ করে রক্তের মধ্যে "প্রপার অ্যান্টিবডি" আছে কিনা তা চিহ্নিত করা হবে। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে সেই রক্তের মধ্যে অ্যান্টিবডি থাকে তখন সেই মানুষটির "হোল ব্লাড" সংগ্রহ করা হবে।

এই রাজ্যে থাকা কুড়িটি নির্দিষ্ট ব্লাড ব্যাঙ্ক,  যেখানে যেখানে "ব্লাড কম্পোনেন্ট সেপারেশন ইউনিট" বা BCSU  এই মেশিন আছে সেই ব্লাড ব্যাঙ্কে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির শরীর থেকে "হোল ব্লাড" নিয়ে তা থেকে আলাদা করা হবে এই প্লাজমা।

আরও পড়ুন: কেঁপে উঠল মাটি, বাংলার এই জেলায় ভূমিকম্প

কাদের ওপর প্রয়োগ করা যাবে?

নির্দিষ্টভাবে বলা আছে,  "মর্ডারেট" রোগীদের শরীরে প্রয়োগ করা যাবে। "অফ লেভেল" অর্থাৎ অপ্রচলিত কিছু কিছু জায়গায় এটা প্রয়োগ করা হবে। মানে "অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস সিনড্রোম" আছে এমন চিহ্নিত রোগীদের শরীরে এই প্লাজমা প্রয়োগ করা হবে।

.