টেট পরীক্ষায় বসতে পারবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণহীন দুপক্ষই, নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রাথমিকে টেট পরীক্ষা নিয়ে মামলার রায় গেল রাজ্য সরকারের পক্ষে। পরীক্ষায় বসতে পারবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণহীন দুপক্ষই। জনস্বার্থ মামলায় এই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় আর কোনও বাধা রইল না। টেট পরীক্ষা হবে তিরিশে অগাস্টই।
ওয়েব ডেস্ক: প্রাথমিকে টেট পরীক্ষা নিয়ে মামলার রায় গেল রাজ্য সরকারের পক্ষে। পরীক্ষায় বসতে পারবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণহীন দুপক্ষই। জনস্বার্থ মামলায় এই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় আর কোনও বাধা রইল না। টেট পরীক্ষা হবে তিরিশে অগাস্টই।
৩০ অগাস্ট প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের সঙ্গে বসতে পারবেন প্রশিক্ষণহীনরাও। নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণহীন দুপক্ষই যাতে পরীক্ষায় বসতে পারেন সেবিষয়ে বাম জমানায় পাঁচ বছরের ছাড় দিয়েছিল কেন্দ্র। চলতি বছরের একত্রিশে মার্চ ওই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। এরপর ফের পরীক্ষায় বসার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন প্রশিক্ষণহীনরা। বিরোধিতায় সরব হন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা।
রাজ্যে প্রাথমিকে শূন্যপদের সংখ্যা অনেক বেশি। শুধু প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নিয়োগে ওই পদ পূরণ হবে না। এই যুক্তিতে প্রশিক্ষণহীনদের পরীক্ষায় বসার ছাড় দিতে কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানায় রাজ্য। পরে এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে সরাসরি অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তৃণমূল-বিজেপি কাছাকাছি আসায় এক বছরের জন্য ছাড় মঞ্জুর করে কেন্দ্র। পরে প্রশিক্ষণ নেওয়ার শর্তে ছাড় মঞ্জুর করা হয় । এবছরের পয়লা এপ্রিল এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তির পরেই তত্পর হন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা।
রাজ্যে প্রাথমিকে পঁয়ত্রিশ হাজার শূন্যপদ তাঁদের জন্যই যথেষ্ট নয়। এর পর প্রশিক্ষণহীনদেরও নিয়োগ করা হলে তাঁদের কী হবে, সেই প্রশ্নে আন্দোলনে নামেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। আদালতেরও দ্বারস্থ হন তাঁরা। এর মধ্যেই টেট পরীক্ষার দিন ঘোষণা হয় ৩০ অগাস্ট। আর এরপরই আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের পরিবার। কিন্তু সেই মামলায় কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তির ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন না প্রধান বিচারপতি । যার ফলে তিরিশে অগাস্টই হচ্ছে টেট পরীক্ষা। প্রশিক্ষণহীনদের পরীক্ষায় বসার বিষয়ে আগেই অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এবার হাইকোর্টেরও সম্মতি মেলায় স্বস্তিতে রাজ্য সরকার, স্বস্তিতে প্রশিক্ষণহীনরাও।