Teacher Recruitment Scam: কত টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন ৪ শিক্ষক? কার কাছে যায় সব টাকা?
বেআইনিভাবে নিয়োগের ঘটনায় টাকা দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতকাল ৪ শিক্ষককে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারকের মন্তব্য, 'এরাই সেই লোক... এদের জন্যই এতগুলি মানুষ ভুগছে।'
পিয়ালি মিত্র: ধৃত ৪ শিক্ষক-ই তাপস মণ্ডলকে টাকা দিয়েছিলেন। জাহিরুদ্দিন শেখ তাপস মন্ডলকে দেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা। সৌগত মণ্ডল দেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা। সাইগার হোসেন ও সিমার হোসেন দুই ভাই। দুই ভাই-ই দেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা করে। অর্থাৎ এই ৪ জন-ই মোট দিয়েছিল ২২ লাখ টাকা। আরও একজন দিয়েছিল ১ লাখ টাকা। অর্থাৎ, মোট ২৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, তাপস সেই টাকা দেন কুন্তল ঘোষকে। কুন্তলের মাধ্যমে সেই টাকা পৌঁছয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ একজনের কাছে।
প্রসঙ্গত, বেআইনিভাবে নিয়োগের ঘটনায় টাকা দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতকাল ৪ শিক্ষককে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় আদালত। ধৃতরা হলেন জাহিরউদ্দিন শেখ, সাইগার হোসেন, সিমার হোসেন ও সৌগত মণ্ডল। তাঁরা সকলেই মুর্শিদাবাদ জেলার। বিচারকের মন্তব্য, 'এরাই সেই লোক, যাঁরা টাকা নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষের মতো লোকেদের কাছে গিয়েছিলেন। এদের জন্যই এতগুলি মানুষ ভুগছে।' ২১ অগস্ট পর্যন্ত ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করে সিবিআই।
সেই চার্জশিটে ওই ৪ শিক্ষককে সাক্ষী করার রীতিমতো ক্ষুদ্ধ হয় আদালত। অভিযোগ, টাকা বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন ৪ জনই। আদালতে হাজিরা নির্দেশ দেওয়া হয় অভিযুক্তদের। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তোলপাড় গোটা রাজ্য। আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে খোদ প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ের। যে প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, 'দুর্নীতির মূলছেদ করতে গেলে, টপ টু বটম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। যে চারজন শিক্ষককে পয়সা দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত, তা অত্যন্ত আনন্দদায়ক ও যুক্তিপূর্ণ আদেশ বসে মনে করি।'
আরও পড়ুন, SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম জামিন! ছাড়া পেলেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী