'কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নয়... পরম্পরা মেনে চলবে পার্টি', বিজয়বর্গীয়র বক্তব্যকে সমর্থন তথাগতর

"আমাদের পার্টির কিছু পরম্পরা আছে। আমরা সেই মত চলব।"

Reported By: অঞ্জন রায় | Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Aug 24, 2020, 06:06 PM IST
'কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নয়... পরম্পরা মেনে চলবে পার্টি', বিজয়বর্গীয়র বক্তব্যকে সমর্থন তথাগতর
ফাইল ফোটো

নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ছাড়াই ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে লড়বে বিজেপি। কাল একথা ঘোষণা করেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আজ তাঁর সঙ্গে দেখা করে বিজয়বর্গীয় এই বক্তব্যকে সমর্থন জানালেন মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা রাজ্য বিজেপি নেতা তথাগত রায়।

এদিন তিনি বলেন, "আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য নির্বাচনে জেতা। নির্বাচনে জেতার জন্য কী কী প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলি দূর করা। কোথায় আমাদের শক্তি আছে, সেগুলিকে জোর দেওয়া। কারা আমাদের বিপদে ফেলতে পারে সেটা দেখা। মুখ্যমন্ত্রী এখন অনেক পরের কথা। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন করবেন নির্বাচিত বিধায়করা। আমাদের পার্টির কিছু পরম্পরা আছে। আমরা সেই মত চলব।"

এদিকে রবিবার সব্যচাসী দত্তের গণেশ পুজোয় অংশ নিয়ে বিজয়বর্গীয় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সংক্রান্ত মন্তব্য করার পরই তাঁকে কটাক্ষ করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বলেন, "একুশে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে, সেটা একপ্রকার দিবাস্বপ্ন। দিবাস্বপ্ন দেখছে বিজেপি।" এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যেরও পাল্টা জবাব দেন তথাগত রায়। বলেন, "সুব্রত মুখোপাধ্যায় মোটামুটি হাওয়া মোড়কের মধ্যে চলেন। যেটা বলেছেন সেটা নেত্রীকে খুশি করা করার জন্য বলেছেন।"

শুধু সুব্রত মুখোপাধ্যায় নয়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেও এদিন একহাত নেন তথাগত রায়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছিলেন, "তথাগত রায়ের রাজনীতিতে আসাটা অনৈতিক।" যার উত্তরে আজ তথাগত রায় বলেন, "একজন যদি লেখাপড়া না করে দেশের ইতিহাস সম্পর্ক না জেনে কথা বলেন, আমি কী বলব! মধ্যপ্রদেশের অর্জুন সিং পাঞ্জাবের রাজ্যপাল ছিলেন। পরে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন। শীলা দিক্ষিত কেরলের রাজ্যপাল ছিলেন, পরে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। মতিলাল ভোরা প্রথমে রাজ্যপাল ছিলেন পরে AICC-এর ট্রেজারার হন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যদি না জেনে বকেন, তা হলে আর কী বলব!"

আরও পড়ুন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হারানো পদ ফেরৎ পেলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী

.