এবার তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে সাসপেন্ড তারক দাস
তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল মেটিয়াবুরুজ থানার পুলিস কনস্টেবল ও সক্রিয় তৃণমূল কর্মী তারক দাসকে। শনিবার তারক দাসের বিরুদ্ধে ডিসি (বন্দর) মেহবুব রহমানকে রিপোর্ট দেন তাঁর বিরুদ্ধে পাটুলি থানার ওসি। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই তারক দাসকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল মেটিয়াবুরুজ থানার পুলিস কনস্টেবল ও সক্রিয় তৃণমূল কর্মী তারক দাসকে। শনিবার তারক দাসের বিরুদ্ধে ডিসি মেহবুব রহমানকে রিপোর্ট দেন তাঁর বিরুদ্ধে পাটুলি থানার ওসি। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই তারক দাসকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছেন ডিসি(বন্দর)। তারক দাসের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে তারক দাস এখনও পলাতক।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসেরই কর্মী প্রদীপ ঘোষকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তারক দাসের বিরুদ্ধে। এদিন রাতে ফোন করে ডেকে বাঘাযতীনের রবীন্দ্র পল্লীর বাসিন্দা প্রদীপ ঘোষকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তারক দাস। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রদীপ ঘোষ একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর তারক দাসকে ধরবার চেষ্টা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু তারক দাস পালিয়ে যায়। এরপর পাটুলি থানায় তারক দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পাটুলি থানার পুলিস জানায়, তারক দাসকে তারা খুঁজে পায়নি। অথচ শুক্রবারও কাজে যোগ দিয়েছিল মেটিয়াবুরুজ থানার এই কনস্টেবল। তাই ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, এলাকা সামাজিক কাজ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রোমোটার এবং ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা আদায় করত পুলিসকর্মী তথা তৃণমূলকর্মী তারক দাস। সেই কাজে বাধা দেওয়াতেই দলীয় কর্মীকে খুন করার চেষ্টা করেছে তারক দাস। যদিও প্রদীপ ঘোষের আত্মীয়দের দাবি, ইমারতি ব্যবসা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই এই ঘটনা। প্রদীপবাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে পাটুলি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়।
এই তারক দাসের বিরুদ্ধেই এবছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘটের দিন যাদবপুরে সাংবাদিকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার জেরে তাকে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করে লালবাজার। কিন্তু সে সময় দলের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।