Suvendu Adhikari: শ্য়ামাপ্রসাদের মূর্তিতে মালা দিয়ে জ্যোতি বসুকে 'স্মরণ' শুভেন্দুর!
আজ, ২০ জুন। কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে যেমন 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালনের আয়োজন করা হল রাজভবনে, তেমনি দিনটিকে উদযাপন করল রাজ্য বিজেপিও। শুভেন্দু বলেন, 'বঙ্গের এই পশ্চিম দিকটা মানে পশ্চিমবঙ্গ, এর জন্য আলাদা একটি প্রদেশ তৈরি করে ভারতভুক্তি করা। এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভারতকেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছিল ৫৮। আমরা তো ইতিহাস বিকৃতি করি না। এই ৫৮ জনের মধ্যে প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী, বামপন্থী নেতা জ্যোতি বসুও ছিলেন'।
অয়ন ঘোষাল: 'আমরা তো ইতিহাস বিকৃতি করি না'। শুভেন্দুর অধিকারীর গলায় এবার জ্যোতি বসুর স্তুতি! রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বললেন, 'পশ্চিমবঙ্গের ভারতভুক্তি পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বামপন্থী নেতা জ্যোতি বসু। এটা না হলে আমরা ভারতবর্ষে থাকতে পারতাম না'।
আরও পড়ুন: Amartya Sen: জমি বিতর্কের মধ্যে ঘর ছেড়েছিলেন, এবার শান্তি নিকেতনে ফিরছেন অমর্ত্য সেন
আজ, ২০ জুন। কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে যেমন 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালনের আয়োজন করা হল রাজভবনে, তেমনি দিনটিকে উদযাপন করল রাজ্য বিজেপিও। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মালা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'বঙ্গের এই পশ্চিম দিকটা মানে পশ্চিমবঙ্গ, এর জন্য আলাদা একটি প্রদেশ তৈরি করে ভারতভুক্তি করা। এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভারতকেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছিল ৫৮। আমরা তো ইতিহাস বিকৃতি করি না। এই ৫৮ জনের মধ্যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বামপন্থী নেতা জ্যোতি বসুও ছিলেন। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি আদর্শগতভাবে কমিউনিস্টদের বিরোধী। আমরা কখনই বলি না যে, জ্যোতিবাবু আমাদের ভারতভুক্তির পক্ষে ভোট দেননি'।
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় ২০ জুন তারিখটিকেই 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সেইমতোই গতবছরও 'পশ্চিমবঙ্গ দিবস' পালিত হয় রাজভবনে। যা নিয়ে নবান্ন ও রাজভবন সংঘাত চরমে পৌঁছয়। রাজ্যপালকে সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর স্রেফ বিধানসভা প্রস্তাব আনাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটিই প্রস্তাব দেয়, পয়লা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হোক। সেপ্টেম্বর সেই প্রস্তাব পাস হয় বিধানসভায়।
এদিকে শিয়রে তখন লোকসভা ভোট। এবছর পয়লা বৈশাখ শর্তসাপেক্ষে রাজ্যকে 'বাংলা দিবস' পালনের অনুমতি দিল নির্বাচন কমিশন। সেইমতো শুধুমাত্র সরকারি আধিকারিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান হয়। কমিশনের নির্দেশ ছিল, ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রীরা অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারবেন, কিন্তু অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এমনকী, নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল বিজ্ঞাপনেও।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)