ঐতিহাসিক ব্রিগেড হাতছাড়া করবেন না, সপরিবারে আসুন, বার্তা সূর্যকান্ত মিশ্রের
বিজেপি-তৃণমূলকে এক বন্ধনীতে রেখে নিশানা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের।
মৌমিতা চক্রবর্তী
ঐতিহাসিক হতে চলেছে বামেদের ব্রিগেড। সপরিবারে আসুন। হাজরা মোড়ের সভায় এমনটাই আবেদন করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর বার্তা, জীবনে এমন সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। আসুন সপরিবারে, সবান্ধব। কেউ যাতে দলছাড়া না হন।
আর মাত্র ৩ দিন।এবার ৩রা ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের সমাবেশে না এসে জীবনে এমন একটা অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। আসুন- সপরিবারে,সবান্ধবে। দেখবেন যেন কেউ দলছাড়া না হয়। pic.twitter.com/IEjX1itJRt
— Surjya Kanta Mishra (@mishra_surjya) January 30, 2019
বাংলায় শাসক বিরোধী হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি।মঙ্গলবার অমিত শাহের সভার পর বিজেপি কর্মীদের উপরে দুষ্কৃতী হামলার পর অ্যাডভান্টেজ পেয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূল-বিজেপি লড়াইয়ের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে বামেরা। এদিন তাই আরও একবার সূর্যকান্ত মিশ্র বোঝানোর চেষ্টা করলেন, সবটাই উপরে উপরে তলে তলে তৃণমূল-বিজেপি একটাই দল। এদিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, ''গতকাল কাঁথিতে সভা ছিল বিজেপির। ওই অফিসটা শুনেছি একবার বিজেপি, একবার তৃণমূলের হয়। এত বাসে আগুন, ভাঙচুর। গোলমাল এসব এমনি এমনি করছে! মুখ্যমন্ত্রী আপনি কংগ্রেস-সহ ২৩টি দলকে ডাকলেন। কিন্তু বিজেপি যে আসল শত্রু সেটা আমরা ৪ বছর আগে বলেছি। যাদের ডেকে আনলেন তার মধ্যে চারজন তো বিজেপি নেতা। তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরতে শুরু করেছে। আপনি তো খাল কেটে কুমীর ডেকেছেন''।
বিজেপিকে একহাত নিয়ে সূর্যকান্ত বলেন,''বিজেপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনতে হবে? অমিত শাহ আপনারাই লাড্ডু ভাগাভাগি করছিলেন''। মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে বিজেপি বিরোধীর দেখানোর চেষ্টা করছেন। আর অমিত শাহ আপনারাই লাড্ডু ভাগাভাগি করছিলেন। বিজেপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনতে হবে?''
গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে সূর্যকান্ত মিশ্র মনে করিয়ে দেন, বামপন্থীরা গান্ধীবাদী নন। কিন্তু শান্তির পক্ষে। শাসকরা যখন হিংসার পথ নেয়, তখন মানুষের অধিকার তা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে বামেরা। মতপার্থক্য থাকলেও তাঁরা গান্ধীকে স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন- মামাবাড়ি গেলে এই দোকানের চপ-মুড়ি খেতেন মমতা, গাড়ি থামিয়ে কিনলেন ২০টি চপ
তৃণমূল ও বিজেপিকে একবন্ধনীতে ফেলে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের মন্তব্য,''বই পড়লে ভাল করতেন মমতা। উনি পড়তেন, ভাইপো পড়তেন। কে কাকে ফলের রস খাইয়েছিলেন, জানতে পারতেন। গান্ধীর হত্যাকারি নাথুরাম গডসের বংশধরদের দিল্লির মসনদ থেকে সরাতেই হবে। বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির বানানোর কথা ঘোষনা করে দিয়েছে।সরকার গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করেছে, স্থিতাবস্থা তোলার জন্য''।