পাঁচ বছরে বাজার থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা তুলেছে সারদা, আর্থিক সাম্রাজ্যের একক নিয়ন্ত্রক সেই সুদীপ্ত সেনই
সারদা কেলেঙ্কারি। সেটা যে কতটা বড় আকারের তা এবার সামনে চলে এল। পাঁচ বছরে বাজার থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা তুলেছিল সারদা। এমনটাই দেখা যাচ্ছে রাজ্য পুলিস ও এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেটের রিপোর্টে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের হাতে এসেছে ওই রিপোর্ট। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে এই বিরাট আর্থিক সাম্রাজ্যের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করতেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন।
সারদা কেলেঙ্কারি। সেটা যে কতটা বড় আকারের তা এবার সামনে চলে এল। পাঁচ বছরে বাজার থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা তুলেছিল সারদা। এমনটাই দেখা যাচ্ছে রাজ্য পুলিস ও এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেটের রিপোর্টে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের হাতে এসেছে ওই রিপোর্ট। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে এই বিরাট আর্থিক সাম্রাজ্যের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করতেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন।
সারদা কেলেঙ্কারি যে কত বিরাট , তা বোঝা যাচ্ছে রাজ্য পুলিস এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের রিপোর্টে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের হাতে এসে পৌঁছেছে সেই রিপোর্ট। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি এই কেলেঙ্কারি।
অনুমান করা হচ্ছিল ৫০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। কিন্তু পুলিস রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে তার পাঁচগুণ ওই কেলেঙ্কারি। সারদা কেলেঙ্কারির মোট পরিমাণ দুহাজার চারশো ষাট কোটি টাকা।
এই বিরাট টাকার প্রায় পুরোটাই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তোলা। আর এখনও পর্যন্ত আমানতকারীদের ৮০% একটি পয়সাও ফেরত পাননি।
কী প্রলোভন দেখিয়ে আমানতকারীদের থেকে টাকা তুলত সংস্থা?
রিপোর্ট বলছে, টাকা তোলা হত সারদা রিয়েলটি, সারদা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস, সারদা হাউজিং এবং সারদা গার্ডেন রিসর্ট অ্যান্ড হোটেলসের নামে।
ফিক্সড ডিপোজিট, রেকারিং ডিপোজিট ও মান্থলি ইনকাম ডিপোজিট এই তিনটি স্কিমে টাকা তোলা হত।
টোপ দেওয়া হত নির্দিষ্ট সময়ের পর বিদেশে ভ্রমণ বা জমি-বাড়ির।
রাজ্য পুলিস ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের রিপোর্ট অনুযায়ী, সমস্ত টাকার নিয়ন্ত্রণ ছিল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের হাতে।
২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত বাজার থেকে ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা তুলেছে সারদা। পুরোটাই সাধারণ মানুষের টাকা।
ফেরত দিয়েছে মাত্র ৪৫০ কোটি টাকার কিছু বেশি।
অথচ কথা ছিল ২০১৩-এর মধ্যে সারদা গোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে ফেরত প্রায় দু হাজার কোটি টাকা। অর্থাত্ দেড়হাজার কোটির বেশি টাকা তারা ফেরত দেয়নি।
রাজ্য সরকারের তরফে আমানতকারীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন পাঁচশ কোটির তহবিল গঠনের। বেশ কিছু আমানতকারীদের টাকা ফেরতও দিয়েছে সরকার। কিন্তু তা সরকারি কোষাগার থেকে। সারদার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কোনও উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি। তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদেরও। কিন্তু জেরা করা হচ্ছে শুধুমাত্র তৃণমূলের শোকজ হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষকেই। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে কেন রাজ্য পুলিস কুণাল ঘোষ ছাড়া অভিযুক্ত অন্য তৃণমূল নেতামন্ত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে না।