দায় এড়াতে গ্রেফতার বাস চালক

দায় এড়াতে কলকাতা পুলিস সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর দায় চাপাল বাস চালকের ঘাড়ে। যদিও পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে এসএফআই। এই অবস্থায় মোট তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিস। সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর দায় কার? এই সমালোচনার মধ্যেই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে এখন ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন।

Updated By: Apr 3, 2013, 09:42 PM IST

দায় এড়াতে কলকাতা পুলিস সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর দায় চাপাল বাস চালকের ঘাড়ে। যদিও পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে এসএফআই। এই অবস্থায় মোট তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিস। সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর দায় কার? এই সমালোচনার মধ্যেই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে এখন ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত পুলিস-প্রশাসন।
 
সুদীপ্তর মৃত্যুর দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে বাসচালক রাজু দাসকে। হেস্টিংস থানার অতিরিক্ত ওসির অভিযোগের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিস।  বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য ২৭৯ ধারা এবং গাফিলতির জেরে মৃত্যুর অভিযোগে ৩০৪-এ ধারায় মামলা রুজু করা হয় রাজু দাসের বিরুদ্ধে। বুধবারই রাজু দাসকে গ্রেফতার করে হেস্টিংস থানার পুলিস। পরে তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হলে জামিনে মুক্তি পান রাজু।
 
 
পাশাপাশি এসএফআইয়ের বিরুদ্ধেও একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিস। চেতলা থানার হোমগার্ড বিশ্বজিত মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা হয় এই মামলা। এক্ষেত্রে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৩০৭ ধারায়। পাশাপাশি বেআইনি জটলা এবং হাঙ্গামার অভিযোগে একশো সাতচল্লিশ এবং একশো উনপঞ্চাশ ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তিনশো বত্রিশ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি নষ্টের দায়েও রুজু করা হয়েছে মামলা।  
 
বাসচালক এবং এসএফআইয়ের বিরুদ্ধে পুলিসের আনা একাধিক মামলা শুধুই আত্মরক্ষার কৌশল বলে মনে করছেন অনেকেই। পুলিস-প্রশাসনের সমর্থনে ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা লাগার তত্ত্ব শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং এসএফআই কর্মীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অর্থাত্‍ যাবতীয় দায় নিজেদের কাঁধ থেকে সরিয়ে বাসচালককেই অপরাধী সাজানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
 
 
 

.