সল্টলেক থেকে জাল বিছিয়েছিলেন সুদীপ্ত

সল্টলেক থেকেই রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকাতেও প্রতারণার জাল ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। তদন্তে নেমে এমন তথ্যই এসেছে পুলিসের হাতে। শুধুমাত্র সল্টলেক এলাকাতেই তাঁর সাতটি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে কোনওটিতে গভীর রাত পর্যন্ত চলত বৈঠক, কোথাও রাখা হত গুরুত্বপূর্ণ নথি। নির্দিষ্ট কয়েকজন পদাধিকারীর সই করা এন্ট্রি পাস নিয়েই মিলত ভেতরে ঢোকার অনুমতি ।

Updated By: Apr 24, 2013, 08:53 PM IST

সল্টলেক থেকেই রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকাতেও প্রতারণার জাল ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। তদন্তে নেমে এমন তথ্যই এসেছে পুলিসের হাতে। শুধুমাত্র সল্টলেক এলাকাতেই তাঁর সাতটি সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে কোনওটিতে গভীর রাত পর্যন্ত চলত বৈঠক, কোথাও রাখা হত গুরুত্বপূর্ণ নথি। নির্দিষ্ট কয়েকজন পদাধিকারীর সই করা এন্ট্রি পাস নিয়েই মিলত ভেতরে ঢোকার অনুমতি ।
এফ ডি ব্লকের ৪৫৬ নম্বর বাড়িতে থাকত সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের পরিবার। কখনও কখনও গভীর রাতে সুদীপ্ত সেন আসতেন এই বাড়িতে। সঙ্গে থাকত সশস্ত্র রক্ষীরা। বাড়ির লাগোয়া একটি ঘরে রক্ষীদের আলাদা ভাবে থাকার ব্যবস্থাও ছিল। এইচ এ ১৫৫, সুদীপ্ত সেনের দ্বিতীয় বাড়ি। এখান থেকেই উনিশে এপ্রিল পরিবারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ছক কষে সুদীপ্ত। সল্টলেকের এ এল ব্লকের ৫০ নম্বর বাড়ি। সারদা গোষ্ঠীর গুদাম। এখানেই মজুত রাখা হত সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ নথি।
সারদা গোষ্ঠীর কর্মীদের সঙ্গে সাধারণত গভীর রাতে বিধাননগরের মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে গোপন বৈঠক করতেন সুদীপ্ত সেন। বৈঠকের জন্য কর্মীদের আনা হত বাইক অথবা অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে। সবকটি বাইকেই ইংরেজিতে লেখা কে পি। অর্থাত্‍ কলকাতা পুলিস। সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিসকে বেশ কয়েকটি মোটরবাইক দিয়েছিল সারদা গোষ্ঠী। কয়েকটি রেখে দেওয়া হয়েছিল নিজেদের ব্যবহারের জন্য। 
 
 
 

.