সুদীপ্ত-সেবি চুক্তির মাধ্যম ছিলেন সন্ধি, অনুমান সিবিআইয়ের

সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে সেবির যোগাযোগে প্রধান ভূমিকা ছিল সন্ধির আগরওয়ালের। আদালতে এমনই দাবি করল সিবিআই। তবে, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার এবং সন্ধির আগরওয়াল ছাড়াও এই ষড়যন্ত্রে সামিল একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁদের হদিশ পেতেই আদালতে সন্ধিরকে নিজেদের হেফাজতে চায় সিবিআই। সন্ধিরের জামিনের আবেদন খারিজ করে সাতাশে অগাস্ট পর্যন্ত তাঁকে সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।  নির্মল শরাফ নামে এক ব্যবসায়ীকেও আজ জেরা করে সিবিআই।

Updated By: Aug 24, 2014, 07:56 PM IST
সুদীপ্ত-সেবি চুক্তির মাধ্যম ছিলেন সন্ধি, অনুমান সিবিআইয়ের

কলকাতা : সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে সেবির যোগাযোগে প্রধান ভূমিকা ছিল সন্ধির আগরওয়ালের। আদালতে এমনই দাবি করল সিবিআই। তবে, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার এবং সন্ধির আগরওয়াল ছাড়াও এই ষড়যন্ত্রে সামিল একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁদের হদিশ পেতেই আদালতে সন্ধিরকে নিজেদের হেফাজতে চায় সিবিআই। সন্ধিরের জামিনের আবেদন খারিজ করে সাতাশে অগাস্ট পর্যন্ত তাঁকে সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।  নির্মল শরাফ নামে এক ব্যবসায়ীকেও আজ জেরা করে সিবিআই।

সারদা-কেলেঙ্কারির অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী ব্যবসায়ী সন্ধির আগরওয়াল। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে সেবির যোগাযোগের মূল সূত্র ছিলেন তিনি। রবিবার আলিপুর আদালতে এমনই দাবি করল সিবিআই। গোয়েন্দাদের দাবি, এ বিষয়ে তাঁদের হাতে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। জেরায় সন্ধির জানিয়েছেন,  সুদীপ্ত সেনকে তিনি চিনতেন। ২০১০-১১ সালে একাধিকবার তাঁর অফিসেও এসেছিলেন সুদীপ্ত সেন। সন্ধিরের দাবি, তাঁর তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থায় লগ্নির প্রস্তাব দেন সারদাকর্তা। জেরায় সন্ধির স্বীকার করেছেন, নিতুর মাধ্যমে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। কিন্তু, পরবর্তী সময়ে সুদীপ্তর সঙ্গে কুণাল ঘোষও তাঁর কাছে নিয়মিত আসতেন। সারদাকর্তার গ্রেফতারের আগে ২০১৩-র মার্চেও কুণাল ঘোষ এসেছিলেন তাঁর কাছে। তবে, সেবির সঙ্গে যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন সন্ধির আগরওয়াল। জেরায় সন্ধিরের দাবি, পারিবারিক সূত্রে তাঁর সঙ্গে কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠতার কারণেই ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন তিনি।

 অন্যদিকে, সিবিআইয়ের দাবি, রাজনৈতিক যোগাযোগ কাজে লাগিয়েই সারদা গোষ্ঠী থেকে অর্থ আত্মসাত করেছিলেন সন্ধির আগরওয়াল। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সেই অর্থ পেয়েছেন কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিও। সন্ধির তাঁর নিজের ব্যবসায় সারদার টাকা ব্যবহার করেছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। রবিবার, ক্যারাভান ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের মালিক নির্মল শরাফকেও জেরা করে সিবিআই। সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন সহ সংস্থার কর্মীদের কলকাতার বাইরে যাতায়াতের  ক্ষেত্রে টিকিট, হোটেল বুকিংয়ের যাবতীয় কাজ দেখভাল করত শরাফের সংস্থা। পুলিসকর্তা রজত মজুমদারের জেরাতেও তাঁর নাম উঠে এসেছে।   নীতু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্ধিরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সেবির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের খুঁটিনাটি তথ্য মিলবে বলে আশা সিবিআইয়ের।

 

.