সুদীপের সারাদিন
দফায় দফায় আইনজীবীদের সঙ্গে মিটিং। একবার-দুবার নয়, বহুবার। গত কয়েকদিনে, বারবার। সিবিআই দফতরে হাজিরার আগে, নিজের প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখেননি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজও বাড়ি থেকে বেরনর আগে, একপ্রস্থ আইনজীবীদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করেন। তার আগে, সকালে উঠেই পুজো। তবে ধরাই রয়ে গেল সব প্রস্তুতি।
ওয়েব ডেস্ক: দফায় দফায় আইনজীবীদের সঙ্গে মিটিং। একবার-দুবার নয়, বহুবার। গত কয়েকদিনে, বারবার। সিবিআই দফতরে হাজিরার আগে, নিজের প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখেননি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজও বাড়ি থেকে বেরনর আগে, একপ্রস্থ আইনজীবীদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করেন। তার আগে, সকালে উঠেই পুজো। তবে ধরাই রয়ে গেল সব প্রস্তুতি।
ঘুঁটি সাজানো শেষ। যুদ্ধ শুরু। প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখেননি লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা। তবু শেষ রক্ষা হল না। গত পনের দিন ধরেই আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন ৩ জন বিশিষ্ট আইনজীবীর সঙ্গে প্রায় রোজ বৈঠক করেছেন তিনি।
সিবিআইয়ের প্রশ্নবাণ সামলানোর স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে, সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত সুদীপ কথা বলেন আইনজীবীদের সঙ্গে। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে বেরনর আগেও একপ্রস্থ চলে শলা-পরামর্শ। মঙ্গলবার অবশ্য অন্যদিনের তুলনায় একটু আগেই উঠে পড়েন তৃণমূল সাংসদ। তারপর বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান ঠাকুর ঘরে।
আরও পড়ুন- বাবুল সুপ্রিয়, সুজন চক্রবর্তীকেও গ্রেফতার করা হোক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এদিন সকালে দু-এক জন খুবই ঘনিষ্ঠ নেতাও বাড়িতে যান। তাঁদের সঙ্গেও দেখা করে, কথা বলেন সুদীপ। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন। বহু অভিজ্ঞতা। সিবিআই সামলাতে তাই মাথা ঠাণ্ডা রেখেই পা ফেলার কৌশল নেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সিবিআই-তলবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা যাই বলা হোক না কেন, উত্তর যে তাঁকে দিতেই হবে বিলক্ষণ জানেন নিজে। তাই প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন সেভাবেই।
আয়ের উত্স, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সব নিয়ে তথ্য তৈরিই রাখেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যাঙ্কসহ যেখানে তাঁর অর্থ লগ্নি রয়েছে, সেইসমস্ত কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে যান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছ থেকে লিখিতভাবে যে যে প্রশ্নের উত্তর চাইতে পারে CBI, তার জন্যও প্রস্তুতি নেন তৃণমূল সাংসদ।
আরও পড়ুন- মোদী, অমিত শাহকেও গ্রেফতার করতে হবে, বললেন মমতা
সকাল থেকে CBI দফতর চত্বরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। তৃণমূল সাংসদ পৌছতেই, অবস্থা কার্যত হাতের বাইরে চলে যায়। উপচে পড়া ভিড় চারদিকে। হুলস্থুল বেঁধে যায়। কোনওরকমে ভিড় ঠেলে ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে এত প্রস্তুতির পরও শেষরক্ষা অবশ্য হল না। তাপস পালের গ্রেফতারির এক সপ্তাহের মধ্যে, গ্রেফতার হতে হল এই তৃণমূল সাংসদকেও।