স্থিতিশীল মহানায়িকা, তবে সঙ্কট কাটেনি, দেখে এলেন মুখ্যমন্ত্রী

এখনও সঙ্কট কাটেনি সুচিত্রা সেনের। রাত সাড়ে ৯টার মেডিক্যাল বুলেটিন দুপুর, বিকেলের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় সঙ্কট তৈরি হলেও অক্সিজেন দেওয়ায় আপাতত স্থিতিশীল তিনি। ফুসফুসের সংক্রমণের প্রভাবে স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁর। ইনটেনসিভ চেস্ট ফিজিওথেরাপি চলছে তাঁর। নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। তবে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ঠিকঠাক কাজ করছে তাঁর।

Updated By: Jan 10, 2014, 09:41 PM IST

এখনও সঙ্কট কাটেনি সুচিত্রা সেনের। নার্সিংহোমে গিয়ে দেখে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধে পৌনে সাতটা থেকে টানা আড়াই ঘণ্টা নার্সিংহোমে ছিলেন তিনি।

রাত সাড়ে ৯টার মেডিক্যাল বুলেটিন

দুপুর, বিকেলের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় সঙ্কট তৈরি হলেও অক্সিজেন দেওয়ায় আপাতত স্থিতিশীল তিনি। ফুসফুসের সংক্রমণের প্রভাবে স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁর। ইনটেনসিভ চেস্ট ফিজিওথেরাপি চলছে তাঁর। নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। তবে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ঠিকঠাক কাজ করছে তাঁর।

বেলা ১টার মেডিক্যাল বুলেটিন:

আপাতত স্থিতিশীল মহানায়িকা। তাঁকে কৃত্রিমভাবে দেওয়া হচ্ছে অক্সিজেন। শরীরে অক্সিজেনের চাহিদা রয়েছে। হার্টের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে, হালকা খাবারও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। খাবার নিতে পারছেন তিনি। নন ইনভেনসিভ ভেন্টিলেশন চলছে সুচিত্রাএ। চলছে নেবুলাইজেশন, ফিজিওথেরাপি।

আজ সকালে কেমন ছিলেন মহানায়িকা:

এখনও সঙ্কট কাটেনি সুচিত্রা সেনের। হাসপাতাল সূত্রের খবর চিকিৎসায় বিশেষ সাড়া দিচ্ছেন না তিনি। স্বাভাবিক ভাবে খাওয়া দাওয়াও করছেন না। ফুসফুসের সংক্রমণের প্রভাবে স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তাঁর। ডাক্তাররা ফিজিওথেরাপির উপর জোর দিচ্ছেন। ইনটেনসিভ চেস্ট ফিজিওথেরাপি চলছে তাঁর। নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে।

গতকাল থেকেই মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হোয় তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মহানায়িকাকে দেখতে নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। প্রায় এক ঘণ্টা তিনি ছিলেন সেখানে।

বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তাঁকে নেবুলাইজেশন দেওয়া হয়। চালু করা হয় নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন। রাতের দিকে কিছুটা ধাতস্থ হন সুচিত্রা সেন। মহানায়িকার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিত্সকেরা। শ্বাসকষ্টের সমস্যা এখনও পুরোপুরি সারেনি। তাই মাঝে মধ্যেই নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনের সাহায্যে তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।

ফুসফুসে জমে থাকা কফ বের করার জন্য কাল থেকে চালু করা হয়েছে ইনটেনসিভ চেস্ট ফিজিওথেরাপি। অর্থাত্ ভাইব্রেটরের সাহায্যে ফুসফুসে জমে থাকা কফ বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ মতো সুচিত্রা সেনকে নরম খাবার দেওয়া হচ্ছে। তবে মুখে কিছুই প্রায় তুলছেন না তিনি। এ জন্য কাহিল হয়ে পড়ছেন মহানায়িকা। তাঁর ক্যালোরি যুক্ত খাবার প্রয়োজন। জানিয়েছেন তাঁর চিকিত্সকেরা। সুচিত্রা সেনের মেডিক্যাল বোর্ডে কাল থেকে ফুসফুস সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ দুই চিকিত্সককে আনা হয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাই ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। সব মিলিয়ে মহানায়িকা এখনও সঙ্কটমুক্ত নন বলেই মনে করছেন চিকিত্সকেরা।

.