হাত নেড়ে কথা বলছেন মহানায়িকা, তবে সঙ্কট এখনও কাটেনি, আজও দেখে এলেন মুখ্যমন্ত্রী
মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও সঙ্কট এখনও কাটেনি বলে জানালেন ডাত্তাররা। গতকালের মত আজও রাজ্যবাসী উদ্বেগে ছিল সুচিত্রা সেনকে নিয়ে। তবে সন্ধ্যায় ডাক্তারদের কথায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল। অবশ্য উদ্বেগ পুরোপুরি গেলেন।
মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল হলেও সঙ্কট এখনও কাটেনি বলে জানালেন ডাত্তাররা। গতকালের মত আজও রাজ্যবাসী উদ্বেগে ছিল সুচিত্রা সেনকে নিয়ে। তবে সন্ধ্যায় ডাক্তারদের কথায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল। অবশ্য উদ্বেগ পুরোপুরি কাটেনি।
রাত ৭.৩০টার মেডিক্যাল বুলেটিন---
স্থিতিশীল তবে সঙ্কট কাটেনি। অক্সিজেনের মাত্রা তুলনায় ভাল। হূদস্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে। বুকের এক্স-রে ফল ভাল। মহানায়িকার জ্ঞান রয়েছে। হাত নেড়ে কথা বলছেন।
সন্ধে ৬টা: সুচিত্রাকে দেখতে আজও নার্সিংহোমে মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে রয়েছেন মুনমুন সেনও।
দুপুর ২টো: সুচিত্রা সেন এখন স্থিতিশীল। চিকিৎসায় সামান্য সাড়া দিয়েছেন। অক্সিজেনের মাত্রা সন্তোষজনক। বাইপ্যাপ থেরাপি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক। জানানো হয়েছে মেডিক্যাল বুলেটিনে।
১টা ৪০: সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থা আজ স্থিতিশীল। ইশারায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। চিকিৎসায় সামান্য সাড়া মিলেছে।
১টা ৩০: চিকিৎসায় সামান্য সাড়া মহানায়িকার। তবে অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমেছে। হৃদযন্ত্র ফুসফুস এখনও দুর্বল। তাঁকে রাখা হয়েছে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে।
১টা: ইশারায় সাড়া দিচ্ছেন সুচিত্রা। কিছুক্ষণে প্রকাশ হবে মেডিক্যাল বুলেটিন।
বেলা ১২টা: অত্যন্ত সঙ্কটজনক সুচিত্রা সেন। হাসপাতালে রয়েছেন মুনমুন। হাসপাতাল চত্বরে বাড়ল নিরাপত্তা।
সকাল ৯টা: সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তাঁকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। হৃদরোগ, ফুসফুস, ক্রিটিকাল কেয়ার এই তিন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা রাতভর ছিলেন হাসপাতালে। চিকিত্সকদের দাবি, ক্রমশই কাহিল হচ্ছে মহানায়িকার হৃদযন্ত্র এবং ফুসফুস। তাঁর হাঁপানির সমস্যা দীর্ঘদিনের। বর্তমানে যা জটিল আকার নিয়েছে।
রাতভর ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল মহানায়িকাকে। সকালে ওষুধের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর নতুন করে ঘুমের ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়নি। এখনও স্বাভাবিকভাবে অক্সিজেন নিতে পারছেন না তিনি। কৃত্রিমভাবেই অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে মহানায়িকাকে। মুখ নল থাকায় কথাবার্তা বলতে পারছেন না তিনি। ইশারায় চিকিতসকদের নল খুলে ফেলার জন্য বলেছেন। কিন্তু মহানায়িকার অনুরোধ নাকচ করে দিয়েছেন চিকিতসকরা। চিকিতসকদের দাবি এই মুহূর্তে তাঁর হৃদস্পন্দন বাহাত্তর থেকে আশি। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পঁচাশি থেকে নব্বই। রক্তচাপ একশো আশি থেকে একশো তিরিশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এগুলিসবই স্বাভাবিক বলে জানাচ্ছেন চিকিতসকেরা।