রাজ্যে 'সফল' ধর্মঘট, তৃণমূল সুপ্রিমোর রোষানলে নেতা, মন্ত্রীরা
শুনসান রাস্তাঘাট। ফাঁকা বাস ট্রাম। অনেক কল কারাখানাই বন্ধ। গতকালের ধর্মঘটে রাজ্যের এছবিতে ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সুপ্রিমোর তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাবড় নেতা মন্ত্রীদের। এতো মুখের কথা। কিন্তু মনের কথা? বনধের দুপুর থেকে নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সারাক্ষণই হাতে ছিল মোবাইল। ফোন এসেছে, ফোন করেছেন। সরকারি কর্মীদের উপস্থিতিতে খুশি হলেও, কলকাতার চেহারা দেখে বিরক্ত। সারাদিন ধরে ধমক খেতে হয়েছে সব নেতাকেই।
ব্যুরো: শুনসান রাস্তাঘাট। ফাঁকা বাস ট্রাম। অনেক কল কারাখানাই বন্ধ। গতকালের ধর্মঘটে রাজ্যের এছবিতে ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল সুপ্রিমোর তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাবড় নেতা মন্ত্রীদের। এতো মুখের কথা। কিন্তু মনের কথা? বনধের দুপুর থেকে নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সারাক্ষণই হাতে ছিল মোবাইল। ফোন এসেছে, ফোন করেছেন। সরকারি কর্মীদের উপস্থিতিতে খুশি হলেও, কলকাতার চেহারা দেখে বিরক্ত। সারাদিন ধরে ধমক খেতে হয়েছে সব নেতাকেই।
জ্যোতিপ্রিয়কে ডেকে বলেছেন, কারখানাগুলোতে এই হাল কেন?
পার্থকে জিজ্ঞাসা ''রাস্তায় কোনও বাস নেই কেন? প্রাইভেট বাস তো চেখেই পড়ছে না।''
সুব্রত বক্সীকে ধমক দিয়েছেন, ''জেলায় দলের কর্মীরা কোথায়?''
আসলে ধর্মঘটের চেহারা নিয়ে বেশ চিন্তিত তৃণমূলের থিঙ্কট্যাঙ্ক। ধর্মঘট ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে কিন্তু, এরাজ্যে তা কার্যত হয়ে দাঁড়ায় তৃণমূল সরকার বিরোধী। শুনসান রাস্তাঘাট, বন্ধ দোকানের ঝাঁপ, কলেজে ছাত্রদের না আসা, একটু হলেও কপালে ভাঁজ তৃণমূলের তাবড় নেতাদের। কী কারণে সফল বনধ ? সাংগঠিক দুর্বলতা নাকি সরকারের কাজে বিরক্ত মানুষ? দলীয় নেত্রীর নির্দেশেরোগ খুঁজতে বসেছেন নেতারা।
রোগ ১
ভয়ঙ্কর গোষ্ঠীকোন্দল
রোগ ২
কর্মী সমর্থদের একাংশের বেপরোয়াভাব
রোগ ৩
অনৈতিক কাজে তৃণমূলের পতাকার ব্যবহার
রোগ ৪
কর্মীদের ডোন্ট কেয়ার মনোভাব
রোগ তো চিহ্নিত হল কিন্তু দাওয়াই? নেতৃত্বের ধারণা ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। দলের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বহু জায়গায় ধিক্কার মিছিল হয়েছে। কিন্তু, বামেদের নবান্ন অভিযান ও ধর্মঘট পর পর দুই কর্মসূচী যে তৃণমূলের কাছে বড় ধাক্কা বুঝছে শাসক শিবিরও।