অর্থের অভাবে ধুঁকছে রাজ্য, ক্লাব গুলিকে দেদার অনুদান মুখ্যমন্ত্রীর
চলতি আর্থিক বছরের শেষে চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে রাজ্য সরকার। কোন খাতে কিভাবে ব্যয় হবে, তা নিয়ে চিন্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারও নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটেও ক্লাবগুলিকে দেদার অনুদান দিতে পিছপা হননি তিনি।
চলতি আর্থিক বছরের শেষে চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে রাজ্য সরকার। কোন খাতে কিভাবে ব্যয় হবে, তা নিয়ে চিন্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবারও নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। একইসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটেও ক্লাবগুলিকে দেদার অনুদান দিতে পিছপা হননি তিনি।
ক্রমাগত বেড়ে চলা নারী নির্যাতনের ঘটনায় সমালোচনার মুখে রাজ্য সরকার। প্রশ্ন উঠেছে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও। এরইমধ্যে পাড়ার ক্লাবগুলিকেই নিরাপত্তার ভার নিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের কোষাগারে টাকা নেই। বারবার এই অভিযোগ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য যে কেন্দ্রের প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত, সেকথাও একাধিকবার শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। ক্লাবগুলির অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একই বক্তব্য শোনা গেল। এদিনও তিনি সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করেন।
শুক্রবার, ষোলোশ চোদ্দটি ক্লাবকে দু লক্ষ টাকা করে অনুদান দেয় রাজ্য সরকার। গতবার অনুদান পেয়েছিল ৭৮১টি ক্লাব। তারাও এবার একলক্ষ টাকা করে অনুদান পেয়েছে। ক্লাবগুলি টানা পাঁচবছর অনুদান পাবে।
প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের এই চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটে কি কারণে এতগুলি ক্লাবকে অনুদান দিয়ে চল্লিশ কোটি টাকা খরচের সিদ্ধান্ত নিল সরকার। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, পঞ্চায়েতের আগে যুব সম্প্রদায়ের মন পেতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।