বামেদের বিলে আমল দিয়ে চিটফান্ড ঠেকাতে উদ্যোগী সরকার
চিটফান্ডের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে অবশেষে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। চিটফান্ড নিয়ন্ত্রণে বাম আমলে আনা বিলই দ্রুত পাশ করিয়ে চিটফান্ড সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় প্রশাসন। বিলটিতে দ্রুত রাষ্ট্রপতির অনুমোদন চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠিও পাঠানো হয়েছে অর্থ দফতরের তরফে।
চিটফান্ডের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে অবশেষে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। চিটফান্ড নিয়ন্ত্রণে বাম আমলে আনা বিলই দ্রুত পাশ করিয়ে চিটফান্ড সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায় প্রশাসন। বিলটিতে দ্রুত রাষ্ট্রপতির অনুমোদন চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠিও পাঠানো হয়েছে অর্থ দফতরের তরফে।
রাজ্যে এই মুহুর্তে চিটফান্ড সংস্থাগুলির বাড়বাড়ন্তে মার খাচ্ছে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প। চলতি আর্থিক বছরে ওই প্রকল্পে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২১০ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে। চিটফান্ডের বাড়বা়ডন্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বাম দলগুলি। ১৮ ডিসেম্বর এক বাম প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এরপরেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে চিঠি দেয় যোজনা কমিশন। শেষ পর্যন্ত দিল্লির চাপে পড়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। রাজ্যের অর্থ দফতর সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিয়ে বিলটিতে দ্রুত অনুমোদনের আর্জি জানায়। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত প্রশ্ন তোলেন, কেন এতদিন পরেও বাম আমলের বিলটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেল না
বিলটি পাস হলে চিটফান্ডগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে প্রশাসনের। ঠিক সময়ে টাকা ফেরত না দিলে চিটফান্ড মালিকের জেল, জরিমানা কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এমনকী অভিযুক্তের সম্পত্তি দখলও করতে পারবে রাজ্য। চিটফান্ডগুলির আয়ব্যয়ের হিসাবও চাইতে পারে সরকার।