স্বাস্থ্যসাথীর সমস্যা ঘোচাতে রেট বাড়াল রাজ্য সরকার, কমবে হয়রানি
আইসিইউ, কার্ডিও থোরাসিক, সিএপিডি, এমন ৫ ধরনের চিকিৎসায় রেট বাড়ানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'স্বাস্থ্যসাথী' নিয়ে জটিলতা কমানোর উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে দ্রুত অনুমোদনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি একত্রে কাজ করলে স্বাস্থ্যসাথীর মাধ্যমে সকলে পরিষেবা পাবেন।'
ভোটের আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে রাজ্যের সব নাগরিকদের জন্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ওই কার্ড নিয়ে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। এবার সেই সমস্যা কাটাতে উদ্যোগী হল নবান্ন। মঙ্গলবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক হয়। রেট কার্ড নিয়ে শুরু হয়েছিল জটিলতা। অনেক হাসপাতালগুলি আপত্তি করেছিল। এবার রেট ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,'আমরা সমস্ত হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের সঙ্গে আজ বসেছিলাম। ওরা আমাদের আগে জানিয়েছিল, স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবায় রেট যেন বাণিজ্য সম্মত হয়, ক্ষতিকারক যেন না হয়৷ আমরা তাদের আবেদন মেনে যতটা সম্ভব বাড়িয়েছি।'
আইসিইউ, কার্ডিও থোরাসিক, সিএপিডি, এমন ৫ ধরনের চিকিৎসায় রেট বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে সরকারের অতিরিক্ত ২০০ কোটি টাকা খরচ হবে। মুখ্যসচিব বলেন,'স্বাস্থ্যসাথীর জন্য সরকারের বার্ষিক খরচ ধরা হয়েছে আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা। প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে সাত কোটি টাকা। দু'একটি প্রত্যাখ্যানের ঘটনা ঘটছে। সেগুলিও বন্ধ হবে।'
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, দেড় কোটির বেশি পরিবার কার্ডের আওতায় এসেছে। দুয়ারে সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে আরও ৬৭ লক্ষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। অর্থাৎ ২ কোটির বেশি পরিবার এই কার্ড পেয়েছে। আরও ৮০ লক্ষ কার্ড দেওয়ার টার্গেট সরকারের।
আরও পড়ুন- তৃণমূলে হুমায়ুন কবীর, প্রার্থী হচ্ছেন ভোটে; ক্ষমতায় এসে জবাব দেব : লকেট