আরও একবার ঋণ নেওয়ার পথে রাজ্য সরকার
পয়ত্রিশ দিনের মাথায় আরও একবার বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। এই দফায় সরকারি বন্ড বিক্রি করে এক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে সরকার। এর ফলে সাময়িকভাবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও পেনশন সংক্রান্ত সমস্যা মিটবে।
পয়ত্রিশ দিনের মাথায় আরও একবার বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। এই দফায় সরকারি বন্ড বিক্রি করে এক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে সরকার। এর ফলে সাময়িকভাবে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও পেনশন সংক্রান্ত সমস্যা মিটবে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট মোকাবিলায় বাজার থেকে ঋণ নেওয়া কোনও দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হতে পারে না। আর্থিক সঙ্কটে জেরবার রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। পরিস্থিতি সামাল দিতে আবার বাজার থেকে ঋণ নিতে চলেছে রাজ্য। (এই নিয়ে পঁয়ত্রিশদিনের মাথায় দ্বিতীয়বার বাজার থেকে ঋণ নিচ্ছে সরকার। গত আঠেরোই অক্টোবর বাজার থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছিল।) বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ড বিক্রি করেই বাজার থেকে সরকার ঋণ নিয়ে থাকে। এর জন্য গত সপ্তাহেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। শনিবার নিলামে স্থির হয় কোন ব্যাঙ্ক কত সুদে টাকা দেবে। সেই অনুয়ায়ী কোন ব্যাঙ্ক থেকে সরকার ঋণ নেবে তাও ঠিক হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সেই অর্থ জমা দিয়ে দিয়েছে। যেকোনও সময় রাজ্য সেই অর্থ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে তুলে নিতে পারে। এই দফার ঋণের টাকা হাতে পেলে দু-এক মাসের জন্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন, পেনশন সংক্রান্ত অর্থের সমস্যা মিটবে। এই সমাধান নিতান্তই সাময়িক। (বাজার থেকে বন্ড বিক্রি করে ঋণের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির জন্য কেন্দ্র নির্ধারিত ঊর্ধসীমা ছিল সতেরো হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। সেই ঊর্ধসীমা আরও সাতাশশো কোটি টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগের সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন পাঁচ হাজার একশো তিয়াত্তর কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। গত ছমাসে বর্তমান সরকারের নেওয়া ঋণের অঙ্ক ছিল দশ হাজার কোটি টাকা। তারওপর ফের এক দফা ঋণ করা হল। অর্থাত চলতি আর্থিক বছরে রাজ্য সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়াল ষোলো হাজার একশো তিয়াত্তর কোটি টাকা।)
একদিকে কেন্দ্রের থেকে সাহায্য চেয়েও অর্থ পাচ্ছে না রাজ্য। অন্যদিকে ঋণ নিয়ে সরকারি কর্মীদের বেতন, পেনশন দেওয়া দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কর বসিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর পথে হাঁটতে নারাজ রাজ্য সরকার। ফলে ক্রমেই বাড়ছে ঋণের বোঝা।