দেশজুড়ে ই-যান চালুর বিরোধিতা করে মোদী সরকারকে ৬ দফা প্রশ্ন রাজ্যের

পেট্রোলিয়মমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সাফ জানিয়েছেন, ভারতের মতো দেশে পেট্রোল বা ডিজেল চালিত গাড়ি সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব নয়।

Updated By: Jul 24, 2019, 10:10 PM IST
দেশজুড়ে ই-যান চালুর বিরোধিতা করে মোদী সরকারকে ৬ দফা প্রশ্ন রাজ্যের

নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিবেশ দূষণের মোকাবিলায় ও পেট্রোল-ডিজেলের খরচে রাশ টানতে দেশজুড়ে ইলেকট্রনিক যান চালানোর লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই লক্ষ্যে ই-যান ক্রয়ে রেজিস্ট্রেশন ফি ছাড় দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে আর কয়েক বছরের মধ্যে ই-যান চালানো সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি দিল রাজ্য সরকার। 

পুরোদমে ই-যান চালাতে গেলে পরিকাঠামোগত ত্রুটির কথা তুলে ধরেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। রাজ্যের বক্তব্য- 

  • সড়কের পাশে ই-যান চার্জিং দেওয়ার পরিকাঠামো নেই।
  • ই-যানে ব্যবহৃত লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যয়বহুল। 
  • একবার চার্জ দিলে কত কিলোমিটার গাড়ি দৌড়বে, তা নিয়ে রয়েছে ধন্দ।
  • ই-যান মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেক বেশি।   
  • ই-যান যোগান দেওয়ার পরিকাঠামো নেই। 
  • ঠিকঠাক গবেষণার অভাব রয়েছে দেশে।

এর পাশাপাশি ই-যান আসলে বিশাল অংশের মানুষ কাজ হারাতে পারে বলেও মনে করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। 
              
পরিবেশ ও পেট্রোল-ডিজেলের ঊর্ধ্বমুখী দামের কথা মাথায় রেখে দেশজুড়ে ই-যানের ব্যবহারে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমে পড়েছে ই-যান। কলকাতাতেও চলছে ই-বাস। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশে তিন চাকার ও ২০২৫ সালের মধ্যে দু-চাকার ইলেকট্রিক গাড়ি চালানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ই-যান আসা মানে কি পেট্রোল-ডিজেলের গাড়ি উঠে যাওয়া? 

পেট্রোলিয়মমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সাফ জানিয়েছেন, ভারতের মতো দেশে পেট্রোল বা ডিজেল চালিত গাড়ি সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। নয়াদিল্লি সূত্রের খবর, পেট্রোল বা ডিজেলের গাড়ি একেবারে তুলে দেওয়া হবে না। বরং সেগুলির বিক্রয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সরকার। আর বিক্রি বন্ধ হলেই ধীরে ধীরে কমতে থাকবে ওই গাড়িগুলি। ইতিমধ্যেই সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে হিরো, বাজাজ, টিভিএসের মতো সংস্থাগুলি। অনেকেই বলছেন, ই-যান পুরোদমে চালু হয়ে গেলে বর্তমানে গাড়ি বাজারের নামিদামি সংস্থাগুলির এঁটে ওঠা মুশকিল হবে। উঠে আসবে নতুন সংস্থা। 

আরও পড়ুন- সবাই জানে দেশে কী চলছে, সঠিক সময়ে সঙ্গত কারণে চিঠি দিয়েছেন, অপর্ণাদের পাশে মমতা

.