যাদবপুরে নিগৃহীতা ছাত্রীর অভিযোগ নিয়ে কাজ শুরু কমিটির
যাদবপুরের নিগৃহীতা ছাত্রীর অভিযোগ সত্য কিনা তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে দিল সরকার গঠিত কমিটি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেন চেয়ারম্যান সুরঞ্জন দাস। পরে কমিটির দুই সদস্য দেখা করেন নির্যাতিতার সঙ্গে। অন্যদিকে, কমিটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন চেয়ারম্যান।
ওয়েব ডেস্ক: যাদবপুরের নিগৃহীতা ছাত্রীর অভিযোগ সত্য কিনা তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে দিল সরকার গঠিত কমিটি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেন চেয়ারম্যান সুরঞ্জন দাস। পরে কমিটির দুই সদস্য দেখা করেন নির্যাতিতার সঙ্গে। অন্যদিকে, কমিটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন চেয়ারম্যান।
গত ২৮ অগাস্ট যাদবপুরের হস্টেলের মধ্যে তাঁকে নিগ্রহ করে তারই কয়েকজন সহপাঠী। ছাত্রীর অভিযোগ, অধ্যক্ষের ভূমিকা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ পুলিসের লাঠিচার্জ। সবমিলিয়ে সংবাদ শিরোনামে যাদবপুর।
ঘটনার ২৫ দিন পরও নীরব ছিল সরকার। কিন্তু, ছাত্রছাত্রীর রাজপথে কলরব, রাজ্যপালের হস্তক্ষেপের জেরে বাড়তে থাকে চাপ। শেষপর্যন্ত সুরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়। মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করে দিল সেই কমিটি।
দুপুরে তদন্ত কমিটির দুই সদস্য প্রথমে নির্যাতিতার বাবা ও পরে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেন। কমিটি গঠনের পরই নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, কমিটির অধিকাংশ সদস্যই শাসকদলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। কেন বিশাখার সুপারিশ মেনে কোনও মহিলাকে কমিটির চেয়ারম্যান করা হলনা প্রশ্ন ওঠে তানিয়েও। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ।
এদিন সরকারের পক্ষে সরব হয়েছিলেন আরও কয়েকজন। যাদবপুরকাণ্ডে ছাত্রবিক্ষোভকে ঠেকাতে সরকার যে কতটা মরিয়া উপাচার্যদের সাংবাদিক সম্মেলন তার আরও একটা প্রমাণ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।