আমরির আতঙ্ক জাগিয়ে আগুন এসএসকেএমের শিশুবিভাগে
আমরির মৃত্যুকূপের আতঙ্ক ফিরে এল এসএসকেএম হাসপাতালে। গতকাল রাতে অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায় ডাক্তারদের রেস্টরুমে আগুন লাগে। ধোঁয়ায় ভরে যায় রেস্টরুম লাগোয়া শিশুবিভাগ। আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে যান আত্মীয়েরা। বাচ্চাকে নিরাপদে বের করে আনতে ছুটোছুটি শুরু করেন তাঁরা। দমকলের ৪টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আমরির মৃত্যুকূপের আতঙ্ক ফিরে এল এসএসকেএম হাসপাতালে। গতকাল রাতে অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায় ডাক্তারদের রেস্টরুমে আগুন লাগে। ধোঁয়ায় ভরে যায় রেস্টরুম লাগোয়া শিশুবিভাগ। আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে যান আত্মীয়েরা। বাচ্চাকে নিরাপদে বের করে আনতে ছুটোছুটি শুরু করেন তাঁরা। দমকলের ৪টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
গত অক্টোবরেই এসএসকেএমের জরুরি বিভাগের সিটি স্ক্যান ইউনিটে আগুন লেগেছিল। তখনও একই ভাবে আতঙ্ক তাড়া করেছিল রোগীর আত্মীয়দের। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। শনিবার রাত সাড়ে নটা থেকে পৌনে দশটার মধ্যে অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের পাঁচতলা থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। জানা যায়, ডাক্তারদের রেস্টরুমে আগুন লেগেছে। রেস্টরুমের পাশেই শিশুবিভাগ ধোঁয়ায় ভরে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্তানকে বাঁচাতে দিশেহারা হয়ে পড়েন আত্মীয়েরা। শিশুদের কোলে নিয়ে পড়িমরি করে নীচে নেমে আসেন তাঁরা। তাড়াহুড়োর মধ্যে সন্তানকে সরাতে গিয়ে ঘটে যায় বিপত্তি। কয়েকজন শিশুর হাত-পা ভেঙে যাওয়ার খবর মিলেছে।
ঘটনার সময় অ্যানেক্স বিল্ডিংয়ের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগে ৭০ জন ভর্তি ছিল। পেডিয়াট্রিক মেডিসিন বিভাগে ভর্তি ছিল ৪৩ জন। পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ছিল ৪ জন। এদের মধ্যে মোট ১১৩টি শিশুকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
যে সব শিশুদের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল, তাদের সকলকেই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকিদের ইএনটি ওয়ার্ডে সরানো হয়। দমকলের চারটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর অন্য ওয়ার্ডে সরিয়ে নেওয়া শিশুদের ফের শিশুবিভাগের ওয়ার্ডে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।