SSC: CBI নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য, কলকাতার পথে মন্ত্রী পরেশ অধিকারী
স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রীর মেয়ের চাকরি নিয়ে বিতর্ক। মন্ত্রীকে CBI দফতরে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে CBI তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে যখন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল SSC, তখন মেয়েকে সঙ্গে উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। বললেন, 'কোর্টের অর্ডারের কপি এখনও হাতে পাইনি। তবে জানতে পেরেছি, তলব করা হয়েছে। তাই কলকাতা যাচ্ছি'।
ঘটনাটি ঠিক কী? ২০১৬ সালে SLST-র মাধ্যমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ করে SSC। সে বছর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক পদে চাকরি পান খোদ রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা। কীভাবে? অভিযোগ, যাঁদের নাম মেধাতালিকায় ছিল, প্রথমে তাঁদের Ranking Card দেওয়া হয়েছিল। এরপর স্রেফ দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা নয়, তাতে আবার মন্ত্রীর মেয়ের নাম যুক্ত করা হয়। ফলে মেধাতালিকায় থাকা অন্য কর্মপ্রার্থীরা পিছিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: Swine Flu: কলকাতায় সোয়াইন ফ্লুর থাবা, আক্রান্ত সত্তরোর্ধ্ব মহিলা
কীভাবে এমনটা হল? মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন শুনানিতে SSC-র চেয়ারম্যান জানান, 'মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের প্রাপ্ত নম্বর ৬৬। পার্সোনালিটি টেস্ট ছাড়াই তাঁর নাম তালিকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে'। স্রেফ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে CBI তদন্ত নয়, মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে আজ, মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে পরেশ অধিকারিকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত রাজ্যপাল ও মুখ্য়মন্ত্রীর'।
জানা গিয়েছেন, কোচবিহারে মেখলিগঞ্জে এক জনসভায় থাকাকালীন হাইকোর্টের নির্দেশ কথা জানতে পারেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। এর কিছুক্ষণ পর সভা শেষ হয়। মেখলিগঞ্জ সার্কিট হাউসে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন পরেশ। ঘড়িতে তখন ৮টা। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে পদাতিক এক্সপ্রেসে কলকাতা রওনা দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীও।
আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: শুভেন্দুর অফিসে কেন তল্লাশি পুলিসের? মুখ্যসচিবকে তলব রাজ্যপালের
এদিকে SLST-র মাধ্যমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্য। হাইকোর্টের রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, 'মেয়ের নিয়োগের সময় মন্ত্রী ছিলেন পরেশ অধিকারী'। আগামিকাল, বুধবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে SSC।