ED Chargesheet On SSC Scam: পার্থ-অর্পিতার বিরুদ্ধে আজই চার্জশিট, কাস্টডিয়াল ট্রায়ালের আবেদন করবে ইডি!
সিবিআইয়ের জেরায় পার্থ জানিয়েছেন, ফাইলে সই করার ব্যাপারে তিনি নির্ভর করেছিলেন আমলা-আধিকারিকদের উপরে
বিক্রম দাস: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে ম্যারাথন জেরার পর গ্রেফতার করেছিল ইডি। পাশাপাশি পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্যাকেট প্যাকেট টাকা। গ্রেফতার করা হয় অর্পিতাকেও। সেই গ্রেফতারের ৫৮ দিন পর আজ সম্ভবত দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি। এমনটাই কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর। ব্যাঙ্কশাল আদালতে পিএমএলএ আইনে ওই চার্চশিট দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- Primary Teachers Recruitment: প্রাথমিকে শিক্ষকদের আন্তঃজেলা বদলি বন্ধ করে দিল পর্ষদ
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। ওই দিনই সন্ধেয় গ্রেফতার করা হয় পার্থ সঙ্গী অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে। এরপর পার্থ ও অর্পিতার বিরুদ্ধে দীর্ঘ তদন্ত চলে। অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আরও টাকা। সূত্রের খবর ইডি চাইছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতে রেখেই তাদের বিচার করা যায় তার আবেদন জানাবে ইডি। ওই চার্জশিটে রয়েছে বহু তথ্যপ্রমাণ ও অনেকের বয়ান।
এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই বর্তমানে হেফাজতে নিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। সিবিআইয়ের জেরায় পার্থ জানিয়েছেন, ফাইলে সই করার ব্যাপারে তিনি নির্ভর করেছিলেন আমলা-আধিকারিকদের উপরে। সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, 'ডিপার্টমেন্ট থেকে ফাইল আসত। আমি শুধু সই করতাম। আমার খুব সীমিত ক্ষমতা ছিল। তাঁদের উপর ভরসা রেখেছিলাম।' প্রশ্ন উঠছে, কারা এই তারা। অন্যদিকে, অর্পিতা জানিয়েছেন তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া টাকার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি ফ্ল্য়াটে থাকলেও তাঁর সামনে ওই টাকা উদ্ধার হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১৬ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই আবেদনের উপরই শুনানি হয়। আদালতকে সিবিআই জানায় যে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সবটা জানেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি-ই 'মাস্টারমাইন্ড'! তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে আরও অনেক সূত্র মিলবে বলে মনে করছে তারা। আদালত সিবিআই-এর সেই দাবিকেই মান্যতা দেয়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে সিবিআই হেফাজতে পাঠায়।