ফোনে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর, কথোপকথন তুলে ধরে প্রশংসা শ্রীজাতর

অসমের শিলচরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে হোটেলর বাইরে হিন্দুত্ববাদীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শ্রীজাত।

Updated By: Jan 14, 2019, 12:00 AM IST
ফোনে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর, কথোপকথন তুলে ধরে প্রশংসা শ্রীজাতর

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিতর্কিত কবিতার জন্য শিলচরে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন কবি শ্রীজাত। কলকাতায় ফিরেই লিখলেন দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট। আর সেই ফেসবুক পোস্ট জুড়ে রইল 'মমতাময়ী' মুখ্যমন্ত্রীর কথা। শ্রীজাত লিখেছেন,''প্রতিদিনের কোনও সংযোগ বা সম্পর্ক ছাড়াই, বিপদ দেখলে পাশে দাঁড়াতে দেরি হচ্ছে না তাঁর। 

অসমের শিলচরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে শনিবার হোটেলর বাইরে হিন্দুত্ববাদীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শ্রীজাত। বাইরে তাঁর নামে চলে স্লোগান। অভিযোগ, আয়োজক ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বচসা বাধে। তা অচিরেই চরমে ওঠে। তখনই বিক্ষোভকারীরা হোটেলে ভাঙচুর করতে শুরু করেন। শ্রীজাতর দাবি, তিনি প্রায় আড়াই ঘণ্টা হোটেলে বন্দি ছিলেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। নিয়ে যায় সার্কিট হাউজে। ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেন তাঁর সঙ্গে। শ্রীজাত পরে বলেন, “এভাবে যদি এদেশে বাঁচতে হয়। তাহলে এর থেকে বড় লজ্জা আর নেই।” রবিবার সকালেই কলকাতায় ফেরেন শ্রীজাত। কলকাতায় ফিরে তিনি জানান, গত দু’বছর ধরে দেশে বাক স্বাধীনতা কমছে। শিলচরে আগেও গিয়েছেন তিনি। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তিনি এখনই টের পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রীজাত।

এরপর ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্টে মুখ্যমন্ত্রীর মমতাময়ী ভূমিকার প্রশংসা করেছেন কবি। লিখেছেন, ''সার্কিট হাউসে ঢুকছি যখন, অস্ফূট একটি নম্বর থেকে ফোন। ধরতেই দু’বছর আগের একখানা চেনা প্রশ্ন, একই কণ্ঠস্বরে – ‘কী হয়েছে আমাকে বলো তো? এখন ঠিক আছে সব?’ মুখ্যমন্ত্রী ফোন করছেন কলকাতা থেকে। অস্বস্তি হল এই ভেবে যে, বারবার আমার কারণে ব্যতিব্যস্ত হতে হচ্ছে তাঁকে। আর স্বস্তি পেলাম এই কারণে যে, প্রতিদিনের কোনও সংযোগ বা সম্পর্ক ছাড়াই, বিপদ দেখলে পাশে দাঁড়াতে দেরি হচ্ছে না তাঁর। বিশদে জানলেন সমস্তটা, আশ্বস্ত করলেন, আর কোনও অসুবিধে হবে না। ফোন রাখার আগে বললেন, ‘এবার থেকে কোথাও গেলে একটু জানিয়ে যেও, কেমন?’ শেষের এই বাক্যটির মধ্যে যে আটপৌরে গার্হস্থ্য উদ্বেগ জড়িয়েছিল, আজকের রাজনীতিতে তার দাম কম নয়''।

বলে রাখি, উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে বিঁধে একটি কবিতা লিখেছিলেন শ্রীজাত। তার মধ্যে একটি লাইন ঘিরে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি দাবি করেছিল, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন কবি।    

আরও পড়ুন- বাড়তি বলবেন না, দরকারে মুকুলের সঙ্গে কথা বলুন, রাহুল-দিলীপকে নির্দেশ অমিতের

 

.