ভাগারকাণ্ডে উষ্মা প্রকাশ প্রিন্স অব কলকাতার
রোস্টেড চিকেন থেকে মটন কাবাব এমনকী বিরিয়ানিতেও দেওয়া হয়েছে পচাগলা মাংস। এতে আরও বেশি আশঙ্কিত সৌরভ।
সুখেন্দু সরকার
ভাগারকাণ্ড সামনে আসতেই মাথায় হাত ভোজন রসিক বাঙালির। নাওয়া-খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। মাছে ফরম্যালিন, বিরিয়ানিতে বিষ! আমিষ প্রিয় বাঙালি খাবে কী? আম আদমির মতো এই প্রশ্নটা চিন্তায় ফেলেছে কলকাতার মহারাজকেও।
আরও পড়ুন- নিউমার্কেট জুড়ে মরা মুরগির রমরমা ব্যবসা! জি ২৪ ঘণ্টার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট
মরা মুরগি, কুকুর-বিড়ালের মাংস, ভাগারের পচাগলা ‘ফ্রোজেন মিট’-এ সবই না-কি আম আদমির পেটে গিয়েছে। কলকাতার অলিগলির ফাস্ট ফুড সেন্টারগুলি তো বটেই, শহরেরে নামজাদা রেস্তরাঁগুলিতেও পাচার হয়েছে ভাগারের ‘ফ্রোজেন মিট’। রোস্টেড চিকেন থেকে মটন কাবাব এমনকী বিরিয়ানিতেও দেওয়া হয়েছে পচাগলা মাংস। এতে আরও বেশি আশঙ্কিত সৌরভ।
আরও পড়ুন- সরকারি আউটলেটেও কি পচা মাংস? আতঙ্কে নবান্নও
একমাত্র জি ২৪ ঘণ্টা ডট কমকে ‘প্রিন্স অব কলকাতা’ নিজের উষ্মা প্রকাশ করে জানালেন “যারা বিরিয়ানি বানাচ্ছেন তারা যেন ঠিক জিনিস ব্যবহার করেই বিরিয়ানি বানান”। উল্লেখ্য, সৌরভ গাঙ্গুলির বিরিয়ানি প্রেম সর্বজনবিদিত। মোগলাই খাবার তাঁর এতটাই প্রিয় যে, পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে গিয়ে প্রোটোকল ভেঙে লুকিয়ে ‘কাবাব স্ট্রিটে’ও পৌঁছেছিলেন তিনি। যার ফলে তত্কালীন পাক প্রেসিডেন্টের ‘ধমক’ও শুনতে হয়েছিল তাঁকে। ভোজন রসিক ‘প্রিন্স’ কলকাতাতেও ইটিং আউটিং করেছেন বহুবার। তবে ভাগারকাণ্ডের পর তা একেবারেই বন্ধ। এই প্রসঙ্গে মহারাজ বলেন, “আমি এই বিষয়ে সবটা জানি না। আর না জেনে কোনও মন্তব্যই করব না। তবে বিশেষ করে যারা খাবার তৈরি করছেন তাদের উচিত ঠিক জিনিস ব্যবহার করা”।
আরও পড়ুন- ফ্রিজারের মাংস বিক্রি করলেই লাইসেন্স বাতিল, ভাগাড়কাণ্ডে দাওয়াই পুরসভার