Sonali Guha: ফের রাজনীতির ময়দানে! বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য কমিটিতে সোনালি
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী সোনালি গুহ।
মৌমিতা চক্রবর্তী: রাজ্যে তখন তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল! একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী সোনালি গুহ। অবশেষে দলের মহিলা মোর্চার রাজ্য কমিটিতে জায়গা পেলেন তিনি। এক্সিকিউটিভ মেম্বার করা হল সোনালিকে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেন্দ্রের সাংসদ, দায়িত্ব দেওয়া হল সেই ডায়মন্ড হারবারের।
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত সাতগাছিয়া বিধানসভা এলাকা। ২০০১ সালে ওই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রথমবার জেতেন সোনালি। এরপর ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা চারবার সাতগাছিয়ার বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। কিন্তু ২০১১ সাল যখন রাজ্যে পালাবদলে পর মন্ত্রী করা হয়নি সোনালিকে। তাঁকে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার করেন মমতা।
একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা বাদ পড়েন সোনালি। তাঁর জায়গায় সাতগাছিয়া প্রার্থী করা হয় মোহনচন্দ্র নস্করকে। এরপর বিজেপি যোগ দিলেও, আর ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ পাননি প্রাক্তন তৃণমূলনেত্রী। বস্তুত, সক্রিয় রাজনীতি কার্যত দূরেই ছিলেন সোনালি। ২ বছর বাদে ফের রাজনীতির ময়দানে ফিরছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Calcutta Medical College: হাসপাতাল থেকে ওষুধ 'পাচার'! শোরগোল মেডিক্যাল কলেজে
এর আগে, একুশের বিধানসভা ফল বেরনোর পর ফের তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছিলেন সোনালি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে ট্যুইটে লিখেছিলেন, 'অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে, আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম যেটা ছিল আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেখানে আমি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমন আমিও আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিন, বাকি জীবনাটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন'।