তিলজলা অগ্নিকাণ্ডের কিছু মর্মস্পর্শী কাহিনি
শুক্রবার পার্ক সার্কাসের দারাপাড়া বস্তির আগুনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তারা বেশিরভাগই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আটকে পড়াদের উদ্ধারে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪। এম আর বাঙুর ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসতাপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন আরও ১০ জন। তাঁদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার পার্ক সার্কাসের দারাপাড়া বস্তির আগুনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তারা বেশিরভাগই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আটকে পড়াদের উদ্ধারে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪। এম আর বাঙুর ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসতাপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন আরও ১০ জন। তাঁদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বেরিয়েছিলেন দু`বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে। ছেলেকে স্কুলে দিয়েই ফিরবেন, স্ত্রীকে বলেছিলেন সাবির। বস্তিতে আগুন দেখে আটকা পড়াদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। পরে তাঁকেই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করেন অন্যরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সাবিরের। কয়েকঘণ্টার মধ্যে কী ঘটে গেল বুঝেই উঠতে পারছেন না সাবিরের স্ত্রী। শনিবার সকালথেকে তিলজলার দারাপাড়া বস্তিতে শুধুই কান্নার রোল।
জ্বলন্ত ঘর থেকে আটাকে পড়াদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আজাদ, সানি, আমজাদরাও। এখনও পর্যন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন দশজন। বাঙুর হাসপাতালের সামনে উত্কণ্ঠায় শুক্রবারের রাতটা কাটিয়েছেন আত্মীয়রা। চিকিতসকরা জানিয়েছেন, আহতের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার দুপুরে যখন গ্যাস লিক করতে শুরু করে তখন তা বুঝতেই পারেননি বাসিন্দারা। গ্যাস লিক করছে কী না সেটা বুঝতেই দেশলাই জ্বালেন একজন। তারপরই নিমেষে জ্বলে ওঠে গোটা ঘরটা। দেশলাই কাঠিটা না জ্বাললে হয়ত রক্ষা পেত এতগুলো প্রাণ, আক্ষেপ সকলেরই।