সোদপুরে পারিবারিক বিবাদ সামলাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হোমগার্ডের
পারিবারিক বিবাদ সামলাতে গিয়ে খুন হয়ে গেলেন এক হোমগার্ড। হোমগার্ডের সার্ভিস রিভলবার কেড়ে নিয়ে তাকেই গুলি চালিয়ে দেয় মদ্যপ এক ব্যক্তি। শুক্রবার মধ্যরাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে হরিদেবপুরের সোদপুর দক্ষিণ পাড়ার ব্রিকফিল রোডে। মৃত হোমগার্ডের নাম রাজু গোয়ালা। অভিযুক্ত অশোক দাসকেও গুরুতর আহত অবস্থায় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পারিবারিক বিবাদ সামলাতে গিয়ে খুন হয়ে গেলেন এক হোমগার্ড। হোমগার্ডের সার্ভিস রিভলবার কেড়ে নিয়ে তাকেই গুলি চালিয়ে দেয় মদ্যপ এক ব্যক্তি। শুক্রবার মধ্যরাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে হরিদেবপুরের সোদপুর দক্ষিণ পাড়ার ব্রিকফিল রোডে। মৃত হোমগার্ডের নাম রাজু গোয়ালা। অভিযুক্ত অশোক দাসকেও গুরুতর আহত অবস্থায় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত নটা। হঠাত্ হরিদেবপুর থানায় একটি ফোন আসে। ফোনে জানানো হয় সোদপুর দক্ষিণ পাড়ার ব্রিকফিল রোডে পেশায় এক রঙ মিস্ত্রী তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের মদ্যপ অবস্থায় মারধর করছে। ফোন পেয়ে হরিদেবপুর থানার কনস্টেবল ওয়াইদ আলম কর্তব্যরত হোমগার্ড রাজু গোয়ালাকে সঙ্গে নিয়ে বাইকে চেপে বেরিয়ে যান। রাজু গোয়ালার কোমরে ছিল নিজের সার্ভিস রিভলবার। রাতে সেখানে পৌছে তারা দেখতে পান পেশায় রঙমিস্ত্রী অশোক দাসের স্ত্রী স্বপ্না ও তার ছেলে গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
মদ্যপ অশোক দাসকে কিছুক্ষণ বোঝানোর পর তাকে বুঝিয়ে বাড়ি থেকে বের করে আনেন হোমগার্ড রাজু গোয়ালা। অশোক দাসের হাত থেকে কোনওভাবে রিভলবার ছিনিয়ে নেন কনস্টেবল আলম। গুলির আওয়াজে বেরিয়ে আসেন পাড়া প্রতিবেশীরা। ক্ষুব্ধ জনতা মারধর শুরু করেন অশোককে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজু গোয়ালা ও অশোক দাস ও বিবেক যাদবকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় হোমগার্ড রাজু গোয়ালার। ঘটনার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্ত অশোক দাস। ঘটনায় থমথমে গোটা হরিদেবপুরের ব্রিকফিল রোড। রাতেই বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।