সিঙ্গুরে মেঘ-আশা নিরাশার মামলা
কারখানা হয়নি। তবুও জমিজটেই আটকে সিঙ্গুর। জমি ফেরত দিতে নতুন আইনকে ঘিরেই টানাপোড়েন গড়িয়েছে আদালতে। হাইকোর্টের একাধিক রায় সেই আইনি লড়াইয়ে ইতি টানতে পারেনি। বরং জল গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে।
কলকাতা: কারখানা হয়নি। তবুও জমিজটেই আটকে সিঙ্গুর। জমি ফেরত দিতে নতুন আইনকে ঘিরেই টানাপোড়েন গড়িয়েছে আদালতে। হাইকোর্টের একাধিক রায় সেই আইনি লড়াইয়ে ইতি টানতে পারেনি। বরং জল গড়িয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে।
সিঙ্গুর। গত প্রায় এক দশক ধরে যে নামটি ঘিরে উত্তাল হয়েছে রাজ্যরাজনীতি। জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনের সামনে ২০০৮ এর তেসরা অক্টোবর রাজ্য থেকে এই কারখানার প্রকল্প সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা করেন রতন টাটা।
ক্ষমতায় এসে বিশে মে শপথ নিয়েই মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সিঙ্গুরের জমি ফেরানোর সিদ্ধান্তের ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই ১৪ই জুন ২০১১য় বিধানসভায় সিঙ্গুর জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন আইন ২০১১ পাশ হয়।
বিশে জুন গেজেট নির্দেশিকা জারি করা হয়।
২২শে জুন সিঙ্গুর আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় টাটা মোটরস।
দুহাজার এগারোর ১৫ই জুলাই হাইকোর্টে বিচারপতি সৌমিত্র পালের সিঙ্গল বেঞ্চে শুনানি শুরু।
২৮শে জুলাই বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ঘরে ফের ওই মামলার শুনানি শুরু হয়।
দুহাজার এগারোর ২৮শে সেপ্টেম্বর দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর সিঙ্গুর আইন সাংবিধানিক ও বৈধ বলে রায় দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ।
সেবছরই পয়লা নভেম্বর ডিভিশন বেঞ্চে যায় টাটা কর্তৃপক্ষ. শুরু হয় মামলার শুনানি।
দুহাজার বারোর ২২ জুন সিঙ্গুর আইন অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে রায় দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।
এরপরই সিঙ্গুর মামলার গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।