যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও গেলেন না উপাচার্য
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নামে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তবে সেই নোটিসের খসড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তৈরি করা নয়। বিতর্কিত নোটিসটির খসড়া তৈরি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। আর উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ে না গিয়ে দিনভর উচ্চশিক্ষা সংসদে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করলেন।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গেই নোটিস পাঠানো হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অধ্যাপকদের মেল আইডি তে। নোটিস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভ দেখা দেয় অধ্যাপকদের মধ্যে। নোটিসের ভাষা ঘিরে রীতিমত আপত্তি তোলেন অধ্যাপকরা। কিন্তু তথ্য বলছে নোটিশ আসলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তৈরিই করা নয়। নোটিশের উত্স হিসেবে দেখা যাচ্ছে র়ঞ্জন ভট্টাচার্যের নাম। কে এই রঞ্জন ভট্টাচার্য ? বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আধিকারিক ? না, রঞ্জন ভট্টাচার্য আসলে হলেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। যাদবপুরের এই অধ্যাপককে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগের জন্য যে কমিটি তৈরি হয়েছিল তার অন্যতম সদস্যই হলেন অভিজিত্ চক্রবর্তী। রঞ্জনবাবুর মেল থেকে চিঠিটি যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারের কাছে। সেখান থেকেই তা পাঠানো হয় অধ্যাপকদের কাছে। এদিকে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে কাজে যোগ দিলেও বিশ্ববিদ্যালয়েই আসেননি উপাচার্য অভিজিত চক্রবর্তী। বরং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দশ মিনিট দূরত্বে উচ্চশিক্ষা সংসদের অফিসে বসেই কাজ সামলালেন উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ে না এসে এভাবে উচ্চশিক্ষা সংসদে বসে কাজ করা ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে যিনি আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর কথা বলছেন তিনি কেন ছাত্রছাত্রী বা অধ্যাপকদের মুখোমুখি হচ্ছেন না।
সব মিলিয়ে সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় খুলল বটে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক কবে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল।