রাজ্যে ২৩১ সেতু বিপজ্জনক, সমীক্ষা রাজ্য সরকারের
পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন সেতুর অবস্থা খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা চালায় সরকার। সেই সমীক্ষা দিচ্ছে বিপদের ইঙ্গিত। সূত্রের খবর রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোটা রাজ্যে ২৩১টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর অধিকাংশই জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ওপর অবস্থিত। তার মধ্যে ৬৬টি সেতুর এখনই পুনর্নির্মাণ প্রয়োজন।
ওয়েব ডেস্ক : পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন সেতুর অবস্থা খতিয়ে দেখতে সমীক্ষা চালায় সরকার। সেই সমীক্ষা দিচ্ছে বিপদের ইঙ্গিত। সূত্রের খবর রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোটা রাজ্যে ২৩১টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সেতুর অধিকাংশই জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ওপর অবস্থিত। তার মধ্যে ৬৬টি সেতুর এখনই পুনর্নির্মাণ প্রয়োজন।
৪০ থেকে ৫০ বছরের পুরনো ৩০টি সেতু সাংঘাতিক ক্ষতিগ্রস্ত। ৮৫টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত। ১১৬টি সেতু সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত।
আরও পড়ুন- পোস্তা উড়ালপুল বিপর্যয় কাণ্ডে সামনে এল আসল তথ্য
যে সব সেতুর অবস্থা এতটাই খারাপ যে মেরামত করে পাঁচ-ছ-বছরের বেশি চালানো যাবে না, সেগুলিই পুনর্নির্মাণ করার কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে। মূলত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই বেহাল দশা বলে মনে করছেন ইঞ্জিনিয়াররা। ক্ষতিগ্রস্ত সেতু মেরামতের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি।
কিন্তু, বাস্তব ছবিটা ঠিক কীরকম?
সল্টলেকে উইপ্রো ফ্লাইওভার, গড়িয়ার ঢালাই ব্রিজ, শিয়ালদহ ও ব্রেবোর্ন রোড ফ্লাইওভার, হাওড়ার বঙ্কিম সেতু, কালিকাপুর ব্রিজ, সোনারপুর ফ্লাইওভার, পার্ক সার্কাসের ৪ নম্বর ব্রিজ, চিংড়িঘাটা ফ্লাইওভারের অবস্থা ভালো নয় বলে মনে করছে রাইটস।
এছাড়া দামোদরের ওপর দিয়ে তারকেশ্বর ও আরামবাগের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম চাঁপাডাঙ্গা সেতুর বয়স ৫০ পেরিয়েছে। হুগলি জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু কলকাতার সঙ্গে আরামবাগ ও বাঁকুড়ার যোগাযোগের রাস্তা। বর্ষায় ধুয়ে গেছে বালি-মাটি। সেতুর ওপরে রাস্তায় বড় বড় ফাটল। আটকে যাচ্ছে চাকা। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। ফাটল ধরেছে সেতুর বাইরের দিকের কংক্রিটেও। তারকেশ্বরের BDO অবশ্য সেতু মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- বিপদ ব্রেবোর্ন রোড ফ্লাইওভারে!
বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়ার সঙ্গে হাওড়া, হুগলি, কলকাতার যোগাযোগের মাধ্যম আরামবাগ-কালীপুর সেতু। এই সেতু দিয়ে প্রায় ৮০টি রুটের বাস চলে।
সেতুর এই অবস্থা দেখে শিউরে উঠতে হয় বই কী! পিচ-কংক্রিটে গর্ত হয়ে দিব্যি দেখা যাচ্ছে নদী। পিচ উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে লোহার শিক। রাস্তার বেহাল দশা। গোটা সেতুই জরাজীর্ণ, ভাঙাচোরা। জেলার মতো প্রায় একইরকম দশা কলকাতাতেও। এই মুহূর্তে শহর এবং শহরতলির ২৩টি সেতু রেলমন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা রাইটসের নজরে রয়েছে।