তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন থেকে ছাঁটাই শঙ্কু

লাগাতার বিতর্কের জেরে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের পদ থেকে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে সরিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে নিয়ে আসা হল আপাত গুরুত্বহীন তৃণমূলের সম্পাদকের পদের দায়িত্বে। বিতর্কের জেরে আইএনটিটিইউসির সভাপতি দোলা সেনের মাথার ওপর সুব্রত মুখার্জিকে বসিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী। পাশাপাশি সংগঠনকে মজবুত করতে এবার জেলায় জেলায় যাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী।  

Updated By: Oct 17, 2014, 10:14 PM IST
তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন থেকে ছাঁটাই শঙ্কু

কলকাতা: লাগাতার বিতর্কের জেরে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের পদ থেকে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে সরিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে নিয়ে আসা হল আপাত গুরুত্বহীন তৃণমূলের সম্পাদকের পদের দায়িত্বে। বিতর্কের জেরে আইএনটিটিইউসির সভাপতি দোলা সেনের মাথার ওপর সুব্রত মুখার্জিকে বসিয়ে দিয়েছেন দলনেত্রী। পাশাপাশি সংগঠনকে মজবুত করতে এবার জেলায় জেলায় যাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী।  

কলেজ নির্বাচনে অশান্তি, শিক্ষামন্ত্রীর কাজে হস্তক্ষেপ, আন্দোলনের নামে ঘেরাও, ভর্তিকে কেন্দ্র করে তোলা তোলা-তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে এমনই সব অভিযোগে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ছিলেন দলের শীর্ষ নেতারা। এ সব নিয়ে কার্যত জেরবার নেতাদের পরামর্শে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শঙ্কুদেব পণ্ডার মাথায় উপদেষ্টা কমিটি বসিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেও কাজ হয়নি। তাই এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পদ থেকেই শঙ্কুদেব পণ্ডাকে সরিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শঙ্কুদেবকে দেওয়া হয়েছে দলের আপাত গুরুত্বহীন সম্পাদকের পদ।

একই সঙ্গে কোপ পড়ল দোলা সেনের ওপরও। তোলা আদায়ের জেরে একের পর এক কারখানা বন্ধ-হুমকি, সংগঠনের মধ্যে গোষ্ঠী-সিন্ডিকেট তৈরির অভিযোগ উঠেছে  আইএনটিটিইউসির সভাপতি দোলা সেনের বিরুদ্ধে। এতে অস্বস্তিতে পড়ছিল দল। দলের অন্যতম প্রবীণ নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও দলনেত্রীর কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন দোলা সেনের বিরুদ্ধে। তাই এবার দোলাকে সভাপতির পদে রেখেই শ্রমিক আন্দোলনে পোড় খাওয়া প্রবীণ নেতা সুব্রত মুখার্জিকেই দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সারদাকাণ্ড থেকে শুরু করে বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ড। একের পর এক ঘটনায় সম্প্রতি বিরোধীদের প্রবল আক্রমণের মুখে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর জবাব হিসেবে পাল্টা আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছেন দলনেত্রী। প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে কেন্দ্রের ব্যর্থতা এবং রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ানকেই তুলে ধরতে বলা হয়েছে। এমনকি প্রত্যেক জেলার জন্য মুখপাত্রও ঠিক করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংগঠনিক রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে জেলাগুলিকে। দলকে মজবুত করতে আরও একবার জেলা সফরে বেরোচ্ছেন দলনেত্রী। তবে কি এই বৈঠকের পরই বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি কার্যত শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

 

.