সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা লাগাতার ধর্মঘটে
২ মাস ধরে বেতন বকেয়া। মেটেনি বর্ধিত দৈনিক পারিশ্রমিকের দীর্ঘদিনের দাবি। প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করলেন শহরের ১৯টি সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থা ইআরএ-এর এক হাজার সাতশো কর্মী। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভের মাধ্যমে শুরু হল কর্মবিরতি।
২ মাস ধরে বেতন বকেয়া। মেটেনি বর্ধিত দৈনিক পারিশ্রমিকের দীর্ঘদিনের দাবি। প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করলেন শহরের ১৯টি সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থা ইআরএ-এর এক হাজার সাতশো কর্মী। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে অবস্থান বিক্ষোভের মাধ্যমে শুরু হল কর্মবিরতি। প্রাক্তন এই সেনাকর্মীরা সৈনিক বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী শহরের ২টি হাসপাতালে গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে নিয়োজিত। আর বাকি ১৯টি হাসপাতালের ক্ষেত্রে তারা নিয়োজিত হন ইআরএস নামে একটি সংস্থার মাধ্যমে। যার কর্ণধার প্রাক্তন সেনা অফিসার নুপূর মৈত্র। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে ইআরএসের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়েছে গত ৩০শে সেপ্টেম্বর। তারপর রুটিন মাফিক চুক্তির নবীকরণ না হওয়ায় কার্যত অনিশ্চিম এই কর্মীদের ভবিষ্যত্। দফায় দফায় সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় ধর্মঘটে নেমেছেন তারা। তাদের ধর্মঘটে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যেমন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে তিন শিফটের প্রতিটিতে কাজ করতেন ইএসআরের ২২ জন নিরাপত্তা কর্মী। তার বদলে আপাতত নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মাত্র ১০ জন পুলিসকর্মী। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রোগী ও তার পরিবারের লোকজন। সরকারের তরফে আলোচনার লিখিত আশ্বাস না পেলে আপাতত ধর্মঘট এবং কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছে ইএসআর পশ্চিমবঙ্গ শাখার কর্মী সংগঠনের নেতারা।