বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড সাজিদ ধরা পড়ল পুলিসের জালে
পুলিসের জালে ধরা পড়ল বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড সাজিদ। বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিস। বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উল-মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য এই সাজিদ। এনআইএ সাজিদকে ধরে দিলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
কলকাতা: পুলিসের জালে ধরা পড়ল বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড সাজিদ। বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিস। বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠী জামাত-উল-মুজাহিদিনের সক্রিয় সদস্য এই সাজিদ। এনআইএ সাজিদকে ধরে দিলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
গতকাল, বর্ধমান কাণ্ডে অন্যতম চাঁই জিয়াউল হককে গ্রেফতার করল NIA . মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা জিয়াউল হক খাগড়াগড়েই ডেরা বেঁধেছিল। শিমুলিয়া এবং মুকিমনগর মাদ্রাসায় প্রশিক্ষক ছিল জিয়াউল। তার কাজ ছিল যুবক যুবতীদের জেহাদী মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করা। শীর্ষ জামাত উল মুজাহিদিন নেতা সাজিদ এবং সাকিবের ঘনিষ্ঠ জিয়াউল গুজরাত দাঙ্গা এবং মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের হত্যার ছবি দেখিয়ে জেহাদী মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করত।
তালিত গৌড়েশ্বর হাইস্কুলে আরবি পড়াত জিয়াউল। ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার পরই জিয়াউল খাগড়াগড়ের কাছে মসজিদতলায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। সেই বাড়িতে মাঝে মাঝে তার স্ত্রীও এসে থাকত বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। মুকিমনগর ও শিমুলিয়ার মাদ্রাসায় জিয়াউল জঙ্গি প্রশিক্ষণ দিত বলেও জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা। বর্ধমানকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত রেজাউল করিম এবং ইয়ুসুফ শেখের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল তার। জিয়াউলের মালদার বাড়িতে হানা দিয়ে একটি ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে। ল্যাপটপটি বর্ধমান বিস্ফোরণের পর জিয়াউলের হাতে তুলে দেয় রেজাউল। সেখান থেকে কোনও তথ্য মুছে দেওয়া হয়েছে কিনা তা জানতে ল্যাপটপটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।