ফিকির সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত রাজ্যসকারের জমিনীতি
রাজ্য সরকার জমিনীতি বদল না করলে এড়ানো যাবে না শিল্পগঠনের সমস্যা। কলকাতায় আয়োজিত সম্মেলনে স্পষ্টভাবেই একথা জানাল বণিকসভা ফিকি। যদিও, গতকাল মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা নিয়ে যথেষ্ট আশার কথাই শুনিয়েছেন ফিকির প্রতিনিধিরা। গত দেড়বছরে রাজ্যে তেমন কোনও বড় বিনিয়োগ হয়নি। প্রাথমিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করলেও আখেরে শিল্পস্থাপনের প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসেননি কোনও শিল্পোদ্যোগী।
রাজ্য সরকার জমিনীতি বদল না করলে এড়ানো যাবে না শিল্পগঠনের সমস্যা। কলকাতায় আয়োজিত সম্মেলনে স্পষ্টভাবেই একথা জানাল বণিকসভা ফিকি। যদিও, গতকাল মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনা নিয়ে যথেষ্ট আশার কথাই শুনিয়েছেন ফিকির প্রতিনিধিরা। গত দেড়বছরে রাজ্যে তেমন কোনও বড় বিনিয়োগ হয়নি। প্রাথমিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করলেও আখেরে শিল্পস্থাপনের প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসেননি কোনও শিল্পোদ্যোগী। কিন্তু, কেন এই পরিস্থিতি? শিল্পমহলের একটা বড় অংশই এর জন্য সরাসরি দায়ী করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের জমিনীতিকে। বেসরকারি উদ্যোগের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে দেবে না রাজ্য সরকার। এখানেই আপত্তি শিল্পমহলের। আর সেই আপত্তিরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল ফিকির সম্মেলনে।
বুধবার কলকাতায় ফিকির সম্মেলনে স্পষ্টভাবেই রাজ্যের জমিনীতি পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করেন বণিকসভার প্রতিনিধিরা। তাঁদের বক্তব্য শিল্পস্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি শিল্পদ্যোগীদের উদ্দেশে সদর্থক বার্তা দিতে হবে সরকারকে। শিল্পের জন্য পরিবেশ তৈরি করতেও রাজ্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে বলে মনে করেন ফিকির প্রতিনিধিরা। যদিও, বুধবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে শিল্পস্থাপনের জন্য সহায়ক পরিবেশ রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তারা।
এরসঙ্গেই সম্মেলনে জমিনীতি নিয়ে অসন্তোষ চেপে রাখেননি তারা। রাজ্য সরকার অবশ্য জমিনীতি পরিবর্তন নিয়ে মোটেই চিন্তাভাবনা করতে নারাজ। বরং শিল্পনীতির পরিবর্তন করে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করাই এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের অন্যতম উদ্দশ্য। আর সেই লক্ষ্যেই গত অগাস্টে শিল্প বিষয়ক কোর কমিটি গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। শিল্পমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং বিদ্যুতমন্ত্রীকে নিয়ে গঠিত এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। গঠনের পনেরোদিনের মধ্যেই রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল এই কমিটির। কিন্তু, তিনমাস পেরিয়ে গেলেও কোনও গঠনমূলক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি এই কোর কমিটি। কিন্তু, গঠিত হতে চলা শিল্পনীতিতে কি আদৌ আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা?