খুনের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করলেও সনোয়ার শেখের গোপন জবানবন্দিতে নেই মণিরুলের নাম
তিনজনকে পায়ে পিষে মেরেছি। প্রকাশ্য জনসভায় সদম্ভে ঘোষণা করেছিলেন মণিরুল ইসলাম। তারপরেও দ্বারকা হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীর গোপন জবানবন্দিতে নেই তাঁর নাম। ফলে সাময়িক স্বস্তিতে লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক । এদিকে, চার বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় রাজ্যের হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট।
তিনজনকে পায়ে পিষে মেরেছি। প্রকাশ্য জনসভায় সদম্ভে ঘোষণা করেছিলেন মণিরুল ইসলাম। তারপরেও দ্বারকা হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীর গোপন জবানবন্দিতে নেই তাঁর নাম। ফলে সাময়িক স্বস্তিতে লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক । এদিকে, চার বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় রাজ্যের হলফনামা চেয়েছে হাইকোর্ট।
বালির ঘাটের দখল নিয়ে বিবাদ। ২০১০ লাভপুরের দ্বারকায় পিটিয়ে মারা হয়েছিল সিপিআইএম সমর্থক তিন ভাই ধানু, কুটুন ও ওইজুদ্দিন শেখ। কোনওরকমে পালিয়ে বাঁচেন চতুর্থ ভাই সানোয়ার শেখ। এরপর, ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন মণিরুল ইসলাম। ২০১৪ সালে সাঁইথিয়ার জনসভায় নিজেই ঘোষণা করেছেন খুন করার কথা। কিন্তু, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে সানওয়ার শেখের যে গোপন জবানবন্দি প্রকাশ হয়েছে,তাতে নাম নেই মণিরুল ইসলামের।
কেন অবস্থান বদল সানোয়ার শেখের? হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ঘরছাড়া তিনি। মামলা তুলে নিতে নানাভাবে চাপসৃষ্টির অভিযোগ তুলেছে তাঁর পরিবার। সেই চাপের কাছেই কি শেষ পর্যন্ত নতিস্বীকার করলেন সানোয়ার শেখ? তাঁর গোপন জবানবন্দিতে নাম না থাকায় স্বস্তিতে মণিরুল ইসলাম। তবে, স্বস্তিতে নেই রাজ্য। চার বছরেও কেন হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হয়নি তা জানতে চেয়েছে আদালত। হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারি আইনজীবীকে।