Samaresh Majumdar Passed Away: কলমের উত্তরাধিকার রেখে কালবেলায় বিদায় কালপুরুষের...
Samaresh Majumdar Passed Away: প্রয়াত সমরেশ মজুমদার। অ্যাপোলো গ্লেনেগেলসে ভর্তি ছিলেন গত ২৫ এপ্রিল থেকে। আজ, সোমবার বিকেল মৃত্যু এই গদ্যকারের। মূলত ঔপন্যাসিক সমরেশের জন্ম ১৯৪৪ সালে ১০ মার্চ। শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের গয়েরকাটা চা-বাগানে।
Updated By: May 8, 2023, 07:12 PM IST
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রয়াত সমরেশ মজুমদার। অ্যাপোলো গ্লেনেগেলসে ভর্তি ছিলেন গত ২৫ এপ্রিল থেকে। আজ, সোমবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে মৃত্যু এই গদ্যকারের। মূলত ঔপন্যাসিক সমরেশের জন্ম ১৯৪৪ সালে (মতান্তরে ১৯৪২ সালে) ১০ মার্চ। শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের গয়েরকাটা চা বাগানে। তিনি কলকাতায় আসেন ১৯৬০ সালে। কলকাতাতেই পড়াশোনা ও লেখালেখির জীবন শুরু। সমরেশ মজুমদারের প্রথম উপন্যাস 'দৌড়' ছাপা হয়েছিল 'দেশ' পত্রিকায়, ১৯৭৫ সালে। তারপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সাহিত্যকৃতির জন্য সাহিত্য আকাডেমি পুরস্কার-সহ একাধিক সম্মাননা পেয়েছেন সারা জীবন জুড়ে।
আরও পড়ুন: The Kerala Story Banned: 'বাংলায় হিংসা ছড়ানো চলবে না', রাজ্যে নিষিদ্ধ 'দ্য কেরালা স্টোরি'
অনিমেষ-কে কেন্দ্র করে সমরেশের রচিত ট্রিলজি 'উত্তরাধিকার', 'কালবেলা', 'কালপুরুষ' বাংলা সাহিত্যে তাঁকে বিশেষ খ্যাতির অধিকারী করে। অনেকে অবশ্য এটিকে ট্রিলজি বলতে নারাজ। তাঁরা চারটি উপন্যাস ধরেন। 'উত্তরাধিকার', 'কালবেলা', 'কালপুরুষ'-এর সঙ্গে তাঁরা যোগ করেন 'মৌষলকাল' উপন্যাসটিকেও। তবে, সংখ্যাটা তিন হোক বা চার, এই রচনাগুলি তাঁর অবিস্মরণীয় সাহিত্যকৃতি, এগুলি বাংলা সাহিত্যের সম্পদ। পরবর্তী কালে 'কালবেলা' নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন গৌতম ঘোষ।
অনিমেষকেন্দ্রিক এই উপন্যাসচতুষ্টয় ছাড়াও সমরেশ মজুমদারের বহু উল্লেখযোগ্য লেখা রয়েছে। তাঁর অন্যান্য বিশিষ্ট উপন্যাসগুলির মধ্যে অবশ্য উল্লেখযোগ্য-- 'সাতকাহন', 'তেরো পার্বণ', 'উজান', 'গঙ্গা', 'ভিক্টোরিয়ার বাগান', 'আট কুঠুরি নয় দরজা' এবং 'গর্ভধারিণী'। তাঁর এই উপন্যাসটিকে তো কার্যত বৈপ্লবিক ধরা হয়। সমাজতন্ত্র, সমাজ পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে পথ হাঁটে উপন্যাসের তরুণ চরিত্রেরা। তাঁর আখ্যানে ঘুরে-ফিরে এসেছে বিপ্লব ও সংগ্রাম।
গোয়েন্দা-গল্পেও তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তাঁর লেখা অর্জুন চরিত্রটি বহু কিশোরমনকে ছুঁয়েছে। ব্যোমকেশ, ফেলুদা, কাকাবাবু, কর্ণেলের পাশেও স্বকীয়তায় উজ্জ্বল অর্জুন।
মফসসল, এর মানুষজন, মফসসলের প্রকৃতি-- তার পাহাড়-নদী-জনপদ, যেন জলপাইগুড়ির আশেপাশের তিস্তা-তোর্সা-করলা, সরাসরি উঠে আসে সমরেশের কলমে। ক্রমশ তাঁর কলম ছড়িয়ে পড়ে জলদাপাড়া, মাদারিহাট, বীরপাড়া, মালবাজার, রাজাভাতখাওয়া, হলং, গরুমারা, ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ পাহাড়-জঙ্গলে, চা-বাগানে। শহরের কেন্দ্র থেকে দূরে, একটু আড়ালে সেখানেই কি গিয়ে মিলে যায় অনিমেষ-অর্জুনের পথ? আদতে যা বালক সমরেশের উপবন ছিল, তাই কি বারবার নানা রূপে উঁকি দিয়ে যায় তাঁর বিস্তৃত আখ্যানে?