মেয়াদ শেষ বিধাননগর পুরবোর্ডের, বকেয়া ১৫০ কোটি টাকা
বিধাননগর পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ। কাউন্সিলরদের হাত থেকে সমস্ত ক্ষমতা চলে গিয়েছে প্রশাসকের হাতে। এই অবস্থায় পুর পরিষেবা যখন বিঘ্নিত হবে বলে আশঙ্কা করছেন সল্টলেকবাসী, তখন নতুন মাত্রা যোগ করেছে পুরসভার বকেয়ার পরিমাণ। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে গত পুরবোর্ডের বকেয়া।
ওয়েব ডেস্ক: বিধাননগর পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ। কাউন্সিলরদের হাত থেকে সমস্ত ক্ষমতা চলে গিয়েছে প্রশাসকের হাতে। এই অবস্থায় পুর পরিষেবা যখন বিঘ্নিত হবে বলে আশঙ্কা করছেন সল্টলেকবাসী, তখন নতুন মাত্রা যোগ করেছে পুরসভার বকেয়ার পরিমাণ। প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে গত পুরবোর্ডের বকেয়া।
গত সপ্তাহে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিধাননগর পুরসভায় প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন পবন কাদিয়ান। সল্টলেক, রাজারহাট-গোপালপুর নিয়ে যে নয়া কর্পোরেশন তৈরি হচ্ছে, তারও প্রশাসক হিসাবে তাঁকেই নিয়োগ করা হয়েছে। এই অবস্থায় দেখা যাচ্ছে পুরবোর্ডের কাছে বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। শুধুমাত্র টেন্ডার বাবত্ পুরসভার বকেয়া ১০০ কোটি ছাড়িয়েছে।
ঠিকাদারদের বকেয়া তালিকা:
*সড়ক ও ফুটপাথ-১ কোটি ৮ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫০০ এক টাকা।
*বিল্ডিং-৪২ লক্ষ ৭২ হাজার ৪৭৫ টাকা।
*নিকাশি-৪৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা
*পার্ক-১ কোটি ২১ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৯৭ টাকা
*জল সরবরাহ-৫৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫৬ টাকা
*রাস্তার আলো-১ কোটি ১৭ লক্ষ ৫৭ হাজার ৯৩ টাকা
চলতি অর্থবর্ষে পনেরই জুন পর্যন্ত বকেয়ার পরিমাণ ৬ কোটি ২১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮০০ টাকা। দুটি আর্থিক বছর মিলিয়ে মোট বকেয়া ৩৪ কোটি ৬ হাজার ৫ টাকা ডব্লু আই পি-র ৭৪ কোটি ৩৬ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৮ টাকা।মোট বকেয়া ১০৮ কোটি ৩৬ লক্ষ ২০ হাজার তিরানব্বই টাকা।
দেখা যাচ্ছে ২০১৩ সালে যে কাজ শুরু হয়েছে, দুবছর পেরোলেও তারও টাকা এখনও বকেয়া।এই বিপুল পরিমাণ বকেয়ার কথা অবশ্য মানতে নারাজ প্রশাসক। তাঁর দাবি, এখনও বহু কাজ শেষ হয়নি। ফলে বিলও জমা পড়েনি। প্রশ্ন হল, ১০৮ কোটি টাকা জোগার হবে কোথা থেকে? সে ব্যাপারে উত্তর দিতে নারাজ প্রশাসক। বিরোধীদের অভিযোগ, কোনও রকম পরিকল্পনা ছাড়াই বহু কাজের জন্য টেন্ডার ডেকে দিয়েছে পুরবোর্ড। ভবিষ্যতে এই বকেয়ার জন্য অতিরিক্ত করের মাশুল গুণতে হবে বলে আশঙ্কা সল্টলেকবাসীর।