রাজনীতি ব্যাক সিটে, ইমেজ ফেরাতে জনসেবায় মন দিতে চাইছেন ঋতব্রত
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও জনৈক তরুণী নম্রতা দত্তর ঘনিষ্ট মুহূর্তের একাধিক ছবি ও ভিডিও নিয়ে তোলপাড় হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যম। বালুরঘাট থানায় তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন নম্রতা। মঙ্গলবার সিআইডি জেরার মুখে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ। আপাতত রাজনীতিকে পিছনের আসনে রেখে ইমেজ বাঁচাতে আসরে নামলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের বললেন, ''আমি দলহীন সাংসদ। সাংসদ কোটার টাকা খরচ করতে পারছি না। রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চাই।''
নম্রতাকাণ্ডের অনেক আগেই ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিষ্কার করেছে সিপিএম। তবে তিনি এখনও রাজ্যসভার সাংসদ। সূত্রের খবর, সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন এই তরুণ সাংসদ। বিজেপিতে ঋতব্রতকে নেওয়ার ব্যাপারে শনিবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, ''বিজেপির দরজা সকলের জন্য খোলা আছে। তবে ওনাকে দলের সঙ্গে ঝামেলা আগে মেটাতে হবে।'' তখনই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি বাম ছেড়ে এবার রামে ঋতব্রত?
নম্রতার দত্তের মামলায় একাধিকবার সিআইডি জেরা এড়িয়ে গিয়েছেন ঋতব্রত। তবে মঙ্গলবার সিআইডি-র একটানা সাড়ে ৬ ঘণ্টার জেরায় নম্রতা দত্তর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা কবুল করেন তিনি। রাজনৈতিক মহলের মতে, যৌন কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে ধাক্কা খেয়েছে ইমেজ। হৃত ইমেজ পুনরুদ্ধার করতে জনসেবায় মন দিতে চাইছেন ঋতব্রত। আর সেজন্যই দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্য সরকারের।
আরও পড়ুন, মুকুলের হাত ধরে বাম ছেড়ে রামে ঋতব্রত?