Sujay Krishna Bhadra: জামিনের আর্জি খারিজ, ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে কালীঘাটের কাকু
এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয় কালীঘাটের কাকুকে। কুন্তলের বয়ানে সুজয় ভদ্রর নাম উঠে আসে। মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও আঁতাঁত, দাবি ইডির। ইগো সন্তুষ্ট করার জন্য গ্রেফতার। পাল্টা বলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কালীঘাট কাকুর জামিনের আর্জি খারিজ। চোদ্দ দিনের ইডি হেফাজতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অ্যাডমিট কার্ড-সহ চাকরি প্রার্থীদের তথ্য ডিলিট করতে বলেন কালীঘাটের কাকু। সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্ফোরক দাবি ইডির। ইডির আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৪ টেটের ৩২৫ জন চাকরী প্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে আনেন তাপস মন্ডল। যারা অযোগ্য। ইডির কাছে বয়ানে তাপস দাবি করে, সুজয় ভদ্রের মাধ্যমে ওই তালিকা তাপস পাঠান মানিক ভট্টাচার্যকে।
তাপস ইডির কাছে বয়ানে আরও দাবি করেন, সুজয় ভদ্র মানিকের অফিসে নিয়মিত যেতেন। কুন্তলের সুজয়ের সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর কুন্তল সুজয়কে বলেন, ২০১৪ টেটের শিক্ষকতার চাকরির ব্যাপারে কিছু কাজ রয়েছে। উত্তরে সুজয় জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে সব হয়ে যাবে। এরপর কুন্তল ৭০ লক্ষ টাকা সুজয়কে দেন। এরপর সুজয়ের নির্দেশেই পার্থকে কুন্তল দেন ১০ লক্ষ টাকা।
সুজয় ভদ্র ইডির কাছে দাবি করেন, ২০২১ সালের আগে তিনি মানিককে চিনতেন না। কিন্তু মানিকের বাজেয়প্ত করা মোবাইলের Whatspp চ্যাট ঘেটে ইডি দেখে ২০১৮ সাল থেকে সুজয় মানিকের যোগাযোগ রয়েছে। টেট ২০১৪ প্রার্থীদের মার্কশিট, অ্যাডমিট কার্ড মানিকের মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান সুজয়। রাহুল বেরা নামে একজনের নামে ছবি ও অ্যাডমিটকার্ড-সহ ডক্যুমেন্ট যেগুলো নিয়োগ দুর্নীতি সঙ্গে যুক্ত সেগুলো উড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই নথির ওড়ানোর উদ্দ্যশ্যে ছিল তদন্তকে ব্যহত করা। যে তদন্তে নাম উঠে এসেছে সাংবিধানিক পদে থাকা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এবং কয়েকশো কোটি টাকার দুর্নীতি যুক্ত বলে দাবি। কাকুর মোবাইলেই কি লুকিয়ে সূত্র? মুছে দেওয়া বহু উদ্ধার ইডির। মোবাইলের তথ্য সামনে রেখে জেরা সুজয়কে। মেজাজ হারিয়ে তদন্তকারীদের উপর চোটপাট সুজয়ের। খবর ইডি সূত্রে।
টালির চালের মুদির দোকান থেকে কালীঘাটের কাকুর রকেট গতিতে উত্থান। নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা রিয়েল এস্টেটে খাটান সুজয় ভদ্র। কালীঘাটের কাকুর আরও একটি কোম্পানির হদিশ।২০১০ সালে কোম্পানি খুলে মোটা টাকার লেনদেন। কালো টাকা সাদা করতেই আচমকা কোম্পানি বন্ধ? তদন্তে ইডি। বিরোধী নেতা শুভেন্দুর দাবি, কালীঘাটের কাকুর হাত দিয়ে তৃণমূল যুবার রেজিস্ট্রেশন। বেহালায় টাকা জমা হত, সেই টাকা পাঠানো হত কালীঘাটে। আর মাত্র একটা ধাপ, কান টানলেই এবার মাথা আসবে।
আরও পড়ুন, Saradha Scam: সুদীপ্ত সেনের লেখা চিঠিতে শুভেন্দুর নাম, সিবিআইকে পাঠাচ্ছে আদালত