ক্ষোভ তো থাকতেই পারে, আলোচনায় মিটবে, পিকে-পার্থর সঙ্গে বৈঠকের পর রাজীব
বৈঠকে কী সমাধানসূত্র মিলেছে?
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানভঞ্জনে নামল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার সকালে নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ডাকা হল হাওড়ার তৃণমূল নেতাকে। ওই আলোচনায় ছিলেন তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরও। বৈঠকের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভের কথা মানতে চাননি। দাবি করেছেন, দলের রণনীতি নিয়ে কথা হয়েছে। তবে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দলের মধ্যে ক্ষোভ থাকেই। তা আলোচনার মাধ্যমেই মিটবে।
গত কয়েকদিন ধরে বেসুরো বাজছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। Zee ২৪ ঘণ্টাকে তৃণমূল নেতা বলেছিলেন, 'খারাপটাকে যাঁরা খারাপ বলতে পারছে না, ভাল বলছে। ভালটাকে ভাল বলতে পারছে না, খারাপ বলছে। এই স্তাবকতায় আমি বিশ্বাসী নই। ন্যাচরালি সেখানে নম্বর কম।' এরপর তাঁর পোস্টারও পড়ে জায়গায় জায়গায়। রাজীবের 'অভিমান' নিরসনে রবিবার বৈঠকে বসেন তৃণমূলের মহাসচিব। নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ১ঘণ্টার ওই আলোচনায় ছিলেন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর।
বৈঠকে কী সমাধানসূত্র মিলেছে? রাজীব দাবি করেছেন, এটা নিছক দলের রণনীতি নিয়ে আলোচনা। মহাসচিব ডাকায় বৈঠকে এসেছেন। আগামী দিনে আলোচনার জন্য ডাকলে আবার আসবেন। ক্ষোভ কি মিটেছে? রাজ্যের বনমন্ত্রীর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য,'আমি তো আবার বলছি, ক্ষোভ তো থাকতেই পারে। আলোচনার মাধ্যমেই তা মিটবে। আগামী দিনে আরও আলোচনা হবে।'
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজীবের মন্তব্যে স্পষ্ট এখনও মানভঞ্জন হয়নি। বরং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি আরও আলোচনা চান। সূত্রের খবর, বৈঠকে নিজের ক্ষোভের কথা বলেছেন রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে,তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দল তাঁকে বেশি করে ব্যবহার করতে চায়। আগামীতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জানা গিয়েছে, ফের রাজীবের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- এখন থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী? ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য কৈলাসের, পাল্টা TMC-র