কেষ্টপুর কাণ্ডে ক্লিনচিট পূর্ণেন্দু বসুকে
কেষ্টপুরে স্বপন মণ্ডল খুনের ঘটনায় শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে ক্লিনচিট দিল তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৌগত রায় ও দলীয় সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের যাবতীয় অভিযোগও নস্যাত্ করে দিয়েছে দল। দলের বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও সতর্ক করা হয়েছে।
কেষ্টপুরে স্বপন মণ্ডল খুনের ঘটনায় শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুকে ক্লিনচিট দিল তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৌগত রায় ও দলীয় সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের যাবতীয় অভিযোগও নস্যাত্ করে দিয়েছে দল। দলের বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও সতর্ক করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী গ্রেফতার হওয়ার কারণে এই অস্বস্তি রীতিমতো কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। গোষ্ঠী কোন্দলে যুক্ত হয়ে পড়েন দলের শীর্ষ নেতারাও। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা পুলিসের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেন সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা। তৃণমূলের একটি অংশ প্রকাশ্যেই বিবৃতি দেন, শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর বিরুদ্ধেও। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনিবার তৃণমূল ভবনে বৈঠকে বসে শীর্ষ নেতৃত্ব। বৈঠকের শেষে মুকুল রায়ের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, পূর্ণেন্দু বসুকে ক্লিনচিট দিল দল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বৈঠকে প্রায় সব শীর্ষ নেতাই পূর্ণেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ জানাতে থাকেন। বিশেষ করে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে শ্রমমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের কথা জানিয়ে দেন মুকুল রায়। একই সঙ্গে এই বিষয়টি ক্লোজড চ্যাপ্টার করারও নির্দেশ দেন তিনি। তবে তৃণমূলের এক অংশের বক্তব্য, ঘরের কোন্দল কতদিন ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব হবে, সেটা ভবিষ্যতই বলবে।