লোকচক্ষুর আড়ালে 'সাইকো'র জীবন
প্রতিবেশিরা চিনতেন না। কাগজওয়ালা মুখ দেখেনি। খাবার আসত বাইরে থেকে। আর প্রতিমাসে ডাস্টবিনে জমা হত টেডিবিয়ার? একাধিক অসলগ্ন ঘটনা, রহস্যের মোড়ক দে পরিবারের আনাচে কানাচে।
ব্যুরো: প্রতিবেশিরা চিনতেন না। কাগজওয়ালা মুখ দেখেনি। খাবার আসত বাইরে থেকে। আর প্রতিমাসে ডাস্টবিনে জমা হত টেডিবিয়ার? একাধিক অসলগ্ন ঘটনা, রহস্যের মোড়ক দে পরিবারের আনাচে কানাচে।
আঁস্তাকুড়ে পুরনো টেডিবিয়ার। থাকতেই পারে। কিন্তু, যদি বলা হয়, এই টেডিবিয়ার দিয়েই ঘেরা ছিল একটি মৃতদেহ? মনের কোণে রহস্য উঁকিঝুঁকি মারবেই। এমনই অসংখ্য রহস্যে মোড়া শেক্সপীয়র সরণীর দে পরিবার।
প্রায় পনের বছর পাশাপাশি বসবাস। তবু প্রতিবেশির সঙ্গে হাই-হ্যালোর সম্পর্ক নেই। প্রতিদিন বাড়ির দরজায় ইংরেজি দৈনিক গুঁজে আসা কাগজওয়ালা বাড়ির কারও মুখ দেখেননি। দে পরিবারকে জড়িয়ে একের পর এক রহস্য। পুলিস তদন্তে জানত পেরেছে, খাটে দেবযানীর কঙ্কাল ঘেরা থাকত টেডিবিয়ার দিয়ে। টেডিগুলি পুরনো হয়ে গেলে ফেলে দেওয়া হত ডাস্টবিনে। বাড়িতে রান্নার পাট ছিল না। বাইরে থেকে অর্ডার দিয়ে খাবার আনানো হত। সিকিওরিটি গার্ড মারফত সেই খাবার পৌছত ঘরে। বাইরে থেকে আনানো খাবার, দিদি দেবযানী রেঁধেছে মনে করেই খেতেন পার্থ।
রহস্য মোড়া এই জীবনযাত্রা লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যেত আরও কয়েকদিন। যদি না, উদ্ধার হত অরবিন্দ দে'র অগ্নিদগ্ধ দেহ। বলছে পুলিস।