একা প্রিয়াঙ্কা নন, জুনিয়র মৃধা খুনে প্রভাবশালী যোগ
ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের নজরে প্রিয়াঙ্কার কলরেকর্ডস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বরানগরের জুনিয়র মৃধা খুনে প্রায় সাড়ে ৯ বছর পর গ্রেফতার করা হল মূল অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে। উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়েন্দারা বলছেন খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত আরও কয়েকজন। তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের দিন টলিউডের পরিচালক-প্রযোজকদের সঙ্গে প্রায় দুশোবার ফোনে কথা বলেছেন প্রিয়াঙ্কা। ইতিমধ্যেই গোয়েন্দাদের নজরে প্রিয়াঙ্কার কলরেকর্ডস।
আরও পড়ুন: গরু পাচারকাণ্ডে ব্রেক থ্রু, ২ IPSকে তলব CBI-এর
দীর্ঘ অপেক্ষার পর তদন্তের প্রায় কিনারায় পৌঁছে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, রীতিমতো সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে। তবে কী কারণে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। মৃধার পরিবারের লোকের দাবি, প্রিয়াঙ্কা শুধু নন, তাঁর পাশাপাশি একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন এই খুনে। মৃধার বাবার দাবি, দোষীর উপযুক্ত শাস্তি চাই। পাশাপাশি সিবিআই সূত্রে জানাচ্ছে, খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত আরও কয়েকজন। যদিও প্রিয়াঙ্কার দাবি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুনিয়র মৃধা খুনে গ্রেফতার বান্ধবী , CBI-র জালে ব্যবসায়ী বলরাম চৌধুরির প্রাক্তন পুত্রবধূ প্রিয়াঙ্কা
২০১১ সালের ১২ জুলাই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপর খুন হয়েছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়র মৃধা। রাস্তার ধার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে পুলিস মনে করেছিল, হিট অ্য়ান্ড রান কেস। কিন্তু পরে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তাঁর মাথার পিছন দিকে বুলেট গেঁথে রয়েছে বলে দেখা যায়। তদন্ত শুরু করে বরাহনগর থানার পুলিস। এই ঘটনার পর দু-বছর কেটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারছিল না পুলিস। তদন্ত থমকে ছিল। জুনিয়রের পরিবার এর পরই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালতের জুনিয়র মৃধার পরিবারের আর্জিতে সাড়া দেয়।