HDFC Bank Suspends Employee: কর্মীদের সঙ্গে কদর্য ভাষায় অশালীন আচরণ, উচ্চপদস্থ আধিকারিককে সাসপেন্ড করল ব্যাঙ্ক
অবশেষে চাপে পড়ে ওই আধিকারিককে সাসপেন্ড করে দেয় দেশের জনপ্রিয় বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্কের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হএয়ছে, ‘বিষয়টির প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে, সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ব্যাঙ্কের আচরণ নির্দেশিকা অনুযায়ী একটি বিশদ তদন্ত শুরু করা হয়েছে।‘
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কর্মীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের জন্য উচ্চপদস্থ আধিকারিককে সাসপেন্ড করল এক বেসরকারি ব্যাঙ্ক। কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংএ নিয়ম বহির্ভূত আচরণ করার অভিযোগে সোমবার ওই আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্লাস্টার হেড পদের এক আধিকারিককে তাঁর ব্রাঞ্চের কর্মীদের সঙ্গে চিৎকার করে অশালীনভাবে কথা বলতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, Kolkata Airport: কলকাতা বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক! তীব্র চাঞ্চল্য
এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনা শুরু হয়। অবশেষে চাপে পড়ে ওই আধিকারিককে সাসপেন্ড করে দেয় দেশের জনপ্রিয় বেসরকারি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, সহকর্মীদের কুৎসিত ভাষায় অপমান করছেন ব্যাঙ্কের কলকাতা শাখার ক্লাস্টার হেড পুষ্পল রায়। কথা বলছেন চিৎকার করে। সম্বোধন করছেন 'তুই' বলে।
#HDFC bank’s Manager Mr. Pushpal Roy. Employees were treated in an unprofessional way. I would have given back right there. Not sure why & how employees are tolerating. He is completely demoralised and done blatant attacked on employees. Should be fired !
#toxicworkenvironment pic.twitter.com/m0IrfqXl6b— Sara (@srchetlur) June 5, 2023
ব্যাঙ্কের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হএয়ছে, ‘বিষয়টির প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে, সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ব্যাঙ্কের আচরণ নির্দেশিকা অনুযায়ী একটি বিশদ তদন্ত শুরু করা হয়েছে।‘ ব্যাঙ্কের তরফে আরও বলা হয়েছে, যে কোনও ধরনের অসদাচরণের জন্য জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে সংস্থার। ব্যাঙ্ক সমস্ত “কর্মচারীদের সঙ্গে মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে” আচরণ করায় বিশ্বাসী।
ঠিক ঘটেছে?
সেলসের টার্গেট হয়ত বড় দায়। বেসরকারি ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা, লোন দেওয়া, বিমা বিক্রির কাজে থাকে বিস্তর লক্ষ্যমাত্রা বা টার্গেটের চাপ। প্রত্যেক সেলস পার্সেনদের জন্য থাকে সেলসের বড় টার্গেট। সেলসে টার্গেটই হল শেষ কথা। সেই সেলস টার্গেট নিয়েই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে অন্তত জনা ১৫ জন কর্মীকে অপদস্থ, অপমান, অসভ্যতা করতে দেখা যায় সেই ব্যাঙ্ক কর্তাকে।
এই ভিডিয়োয় দেখা যায়, প্রথমে তিনি রাহুল বর্মা নামে একজনের উপর চিৎকার করেন। এর পরে বিশ্বনাথ দে বলে একজনকে গালি দিতে থাকেন। কেন নির্দিষ্টি টার্গেটের চেয়ে কম সেভিংস এবং কারেন্ট অ্যাকাউন্ট তিনি খোলাতে পেরেছেন, সেই অভিযোগ তুলে পুষ্পল রায় অকথ্য গালিগালাজ করতে থাকেন সেই সহকর্মীকে। তিনি থামাতে গেলেও কোনও লাভ হয় না। শেষে জন ব্রাউন নামের একজনকে তিনি কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: 'পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ও চাকরি', ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের শেষশ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর