উপাচার্যের হস্তক্ষেপে উঠে গেল প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের অনশন
যাদবপুরের উপাচার্য পারেননি। পারলেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য। উপাচার্যের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর আজ অনশন তুললেন প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা। যদিও পঞ্চাশ শতাংশের নীচে যাদের উপাস্থিতি তাদের অড সেমেষ্টারের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠেননি উপাচার্য।
কলকাতা: যাদবপুরের উপাচার্য পারেননি। পারলেন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য। উপাচার্যের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর আজ অনশন তুললেন প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা। যদিও পঞ্চাশ শতাংশের নীচে যাদের উপাস্থিতি তাদের অড সেমেষ্টারের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠেননি উপাচার্য।
৫০% হাজিরা না থাকায়, ১৮০জন পড়ুয়াকে অড সেমেস্টারের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে শনিবার বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেন পরীক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয় যারা পরীক্ষায় বসতে পারছেন না তাদের জন্য স্পেশাল সাপ্লিমেন্টরি পরীক্ষার ব্যবস্থা হবে। অনশনরতদের দাবি ছিল, লিখিতভাবে দিতে হবে। এই অবস্থায় সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে নিজের ঘরে না গিয়ে উপাচার্য সটান হাজির হন অনশনরতদের কাছে।
আধঘন্টার এই কথোপকথনের পরেই কিছুটা সুর নরম করে ছাত্রছাত্রীরা। ডিন অফ স্টুডেন্টস ও রেজিষ্ট্রারের উপস্থিতিতে দফায় দফায় আলোচনা চলে। শেষ পর্যন্ত বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ অনশন প্রত্যাহার করে ছাত্রছাত্রীরা।
প্রথম থেকে কর্তৃপক্ষ বলে আসছিল ৫০% নীচে যাদের হজিরা তারা মঙ্গলবার থেকে শুরু পরীক্ষায় কোনওভাবেই বসতে পারবে না, দিতে হবে স্পেশাল সাপ্লিমেন্টরি । অনশন ওঠার মুহুর্তেও সেই সিদ্ধান্তে অনড় কর্তৃপক্ষ। আর এখানেই তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন প্রেসিডেন্সির উপাচার্য যা পারেন তা যাদবপুরের উপাচার্য কেন পারেন না? আলোচনায় কেন মেটাতে পারলেন না সমস্যা?