মেট্রোর কাজে ক্ষতি হয়নি, ব্রিজ বিপর্যয়ের কারণ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব : রাইটস
সংস্থাটির দাবি, ব্রিজে বেশি ভার পড়েছে এবং সঠিক প্রক্রিয়ায় উপরের অংশে ভার নিয়ন্ত্রণ হয়নি বলেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
![মেট্রোর কাজে ক্ষতি হয়নি, ব্রিজ বিপর্যয়ের কারণ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব : রাইটস মেট্রোর কাজে ক্ষতি হয়নি, ব্রিজ বিপর্যয়ের কারণ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব : রাইটস](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/09/05/139394-rights.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের তদন্তভার পেয়েই পূর্ব রেলকে রিপোর্ট দিল 'রাইটস'। বুধবার সকালেই প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে রেলের অধীনস্থ পরিকাঠামো বিষয়ক পরামর্শদাতা এই সংস্থা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মেট্রো রেলের কাজের সঙ্গে এই ব্রিজ বিপর্যয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। বরং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকেই দায়ী করেছে রাইটস। সংস্থাটির দাবি, ব্রিজে বেশি ভার পড়েছে এবং সঠিক প্রক্রিয়ায় উপরের অংশে ভার নিয়ন্ত্রণ হয়নি বলেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আরও পড়ুন- রেলের তরফে মাঝেরহাট ব্রিজ দুর্ঘটনার তদন্তভার পেল রাইটস
মঙ্গলবার বিকাল ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ হঠাত্ ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজ। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। ঘটনায় ইতিমধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। এছাড়া আহত হয়েছেন ৩১ জন। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার হাসপাতালে ইতিমধ্যে চিকিত্সা চলছে তাঁদের। মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, মেট্রো রেলের কাজের জন্যই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকতে পারে ব্রিজটি। এছাড়া ব্রিজ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও এর দায় চাপান রাজ্য পূর্ত দফতর এবং রেলের উপর। উল্লেখ্য, এই মাঝেরহাট ব্রিজের নীচ দিয়েই গিয়েছে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার রেল লাইন। তবে, রাজ্যপাল অভিযোগ করলেও মঙ্গলবারই দায় অস্বীকার করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবু, বুধবার সকালেই জানা যায়, রেলের তরফে এই দুর্ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে 'রাইটস'কে। এরপরই অতি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেলের অধীনস্থ এই কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাটি। ঠিক কী হয়েছে মাঝেরহাটে? পড়ুন- ফের উড়ালপুল দুর্ঘটনা, ভেঙে পড়ল মাঝেরহাট ব্রিজ! একাধিক প্রাণহানির আশঙ্কা
রাজ্যের তরফে এই দুর্ঘটনার তদন্ত ভার ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে। এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এ বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী রবিশঙ্কর চ্যাটার্জির আবেদনের ভিত্তিতে ব্রিজের পিছনে কত টাকা খরচ হয়েছে, কীভাবে ভাঙলো ইত্যাদির তদন্ত চেয়ে বুধবার মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।