সাংবাদিকদের থেকে কুণাল ঘোষকে আড়াল করতে অতি তত্‍পর পুলিস

Updated By: Sep 8, 2014, 02:42 PM IST
সাংবাদিকদের থেকে কুণাল ঘোষকে আড়াল করতে অতি তত্‍পর পুলিস

 

ওয়েব ডেস্ক: সাংবাদিকদের থেকে কুণাল ঘোষকে আড়াল করতে আজ অতি তত্পর ভূমিকায় দেখা গেল পুলিসকে। সকালে থানা থেকে সিবিআই অফিসে আনার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন কুণাল ঘোষ। কিন্তু, কর্তব্যরত পুলিসকর্মীরা তাঁকে জোর করে ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পড়ে যান কুণাল ঘোষ। তাঁর কাঁধে ও মাথায় আঘাত লাগে।

তড়িঘড়ি বিধাননগর মহকুমা হাসপাতাল থেকে পৌছয় চিকিত্সক দল। তাঁর প্রাথমিক চিকিতসার ব্যবস্থা করা হয়। এরপরই গোটা সিজিও কমপ্লেক্স চত্বর নিশ্চিদ্র পুলিসি নিরাপত্তা মুড়ে ফেলা হয়। যদিও, ইডি ও সিবিআই কর্তৃপক্ষের দাবি তাঁরা অতিরিক্ত কোনও নিরাপত্তার আবেদন করেননি।

এদিকে, সারদাকাণ্ডে আজ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির ঘনিষ্ঠদের জেরা করছে সিবিআই। সকালে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌছে যান মন্ত্রী মদন মিত্রের ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত প্রশান্ত প্রামাণিক। প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আসিফ খানকেও জেরা করছেন সিবিআই গোয়েন্দারা।

এছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের আপ্ত সহায়ক বাদল ভট্টাচার্যকেও। সিবিআই সূত্রে খবর, গোয়েন্দারা এবার সারদাকাণ্ডের যারা মাথা, অর্থাত্‍ মূল চক্রীদের খোঁজ শুরু করেছেন। সন্দেহভাজনদের ঘনিষ্ঠদের ডেকে পাঠানো সেই তদন্তেরই অঙ্গ। সুদীপ্ত সেন এবং কুণাল ঘোষকে জেরা করে যে নামগুলি উঠে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এদের জেরার মাধ্যমে। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রয়োজনে তাঁদের কুণাল ঘোষের সামনে বসিয়ে কিংবা সবাইকে একসঙ্গেও জেরা করা হতে পারে।   

এদিকে, সারদাকাণ্ডে আজ প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তা পল্টু দাসের রহস্যজনক লকার খুলতে পারে সিবিআই। গত আঠাশে অগাস্ট সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটে  প্রয়াত ইস্টবেঙ্গল কর্তার বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল একটি চাবিও।

তদন্তে জানা যায়, সেটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের কলেজ স্ট্রিট ব্রাঞ্চের লকারের চাবি। লকার নম্বর একশো সাত। সেটি পল্টু দাসের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের নামে রয়েছে। কিন্তু তা ব্যবহার করতেন দেবব্রত সরকার। জেরায় নিজেও একথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। দেবব্রত সরকারকে জেরা করেই জানা গেছে, সেবির সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের সমঝোতা করিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ওই লকারে রাখা আছে।সিবিআইয়ের সন্দেহ, সুদীপ্ত সেনের দেওয়া কয়েকটি চেকও সেখানে পাওয়া যেতে পারে।  

.